পরিচারিকাকে অত্যাচারের অভিযোগে এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করা হল। অভিযোগ, ঘরে আটকে রেখে ওই তরুণীর উপর অত্যাচার চালাত আইনজীবী। তাঁকে মারধরও করত বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে ওই তরুণী পাঁচ তলা থেকে দড়ি বেয়ে পালানোর চেষ্টা করতে পুরো বিষয়টি সামনে এসেছে। ঘটনাটি নয়ডার সেক্টর ১২১-র।
‘হিন্দুস্তান টাইমস’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) ওই ঘটনাটি সামনে এসেছে। নয়ডার আবাসনে অভিযুক্ত আইনজীবী শেফালির কৌলের পাঁচতলা থেকে দড়ি বেয়ে পালানোর চেষ্টা করেন অনিতা নামে ওই তরুণী। সেইসময় অনিতাকে দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। তাঁরা দ্রুত পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে অনিতাকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় ওই তরুণীর পরিবারকে।
তারইমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভাইরাল ভিডিয়োয় (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) দেখা গিয়েছে, লিফটের মধ্যে এক তরুণীর ঘাড় চেপে দাঁড়িয়ে আছে এক মহিলা। ওই মহিলা অভিযুক্ত আইনজীবী বলে দাবি করা হয়েছে। ওই তরুণী আদতে অনিতা ছিল বলে দাবি করেছেন অনেকে। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, লিফট থামতেই জোর করে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। ওই তরুণী প্রাণপণে লিফটের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছেন। একবার ঢুকেও পড়েন। কিন্তু মহিলা তাঁকে ফের জোর করে লিফটের মধ্যে থেকে বের করে আনে। তরুণী তখনও প্রাণপণে চেষ্টা করছিলেন। হাত-পা দিয়ে লিফটের দরজা আটকানোর চেষ্টা করেন। তাতে অবশ্য লাভ হয়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় কৌলের বিরুদ্ধে ফেজ ৩ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন অনিতার বাবা। যাঁরা নয়ডার গাঢ়ি চৌখাণ্ডি গ্রামে থাকেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪৪ ধারা (বেআইনিভাবে ১০ দিনের বেশি আটকে রাখা), ৩২৩ ধারা (ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করা) এবং ৫০৪ ধারায় (অপমান করা) মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে এখনও ওই আইনজীবীকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি।
অভিযোগপত্রে অনিতার বাবা বলেছেন, 'শেফালির বাড়িতে কাজ করত মেয়ে। গত ৩১ অক্টোবর ওদের চুক্তি শেষ হয়েছে। কিন্তু অনিতাকে বাড়ি ছেড়ে যেতে দেয়নি শেফালি এবং ওকে কাজ করতে বাধ্য করে। ও মেয়ের ফোন নিয়ে নিয়েছিল এবং বাড়ির সব কাজ করতে বাধ্য করত। অনিতা যখন কাজ করতে অস্বীকার করে এবং বাড়ি ফিরে আসতে চায়, তখন শেফালি ওকে মারধর করেছিল এবং পালানোর সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিল।'