কেদারঘাটির কয়েকটি গ্রামে, বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা এবং জরিমানা আরোপ সম্পর্কিত সাইন বোর্ড লাগানোর বিষয়টির কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। তবে গ্রামবাসীরা সাইন বোর্ডের ভাষা পরিবর্তন করেছে। তবে পুলিশ-প্রশাসনের কড়াকড়ির পর রবিবার সাইন বোর্ড থেকে অহিন্দু শব্দটি মুছে ফেলা হয়েছে।
এখন বহিরাগতদের এবং হকারদের গ্রামে প্রবেশ এবং ব্যবসা করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার বোর্ড রয়েছে। এর আগে বোর্ডে অহিন্দুদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। সাইনবোর্ডেও তেমনটাই লেখা ছিল। তবে এবার আর অহিন্দু শব্দটি লেখা যাবে না। অন্যদিকে সরকারও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। স্বরাষ্ট্র দফতর এই ঘটনার তদন্ত করছে।
ডিজিপি অভিনব কুমার জানিয়েছেন, রুদ্রপ্রয়াগের এসপিকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী কাজ মেনে নেওয়া হবে না।
সাম্প্রতিক সময়ে অহিন্দু ও বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকাতে গ্রাম পঞ্চায়েত রবিগ্রাম, গৌরীকুণ্ড, নিয়ালসু, খড়িয়া, মাইখন্ডা সহ বহু গ্রামে সাইনবোর্ড লাগিয়েছিলেন স্থানীয় মানুষ। খবর লাইভ হিন্দুস্তান সূত্রে।
গ্রামাঞ্চলে যাচাই করা ছাড়াই হকার বা সন্দেহজনক লোকজনের চলাচল ঠেকাতে গ্রামবাসীরা এলাকায় সমঝোতা করে পারস্পরিক সম্মতিতে সাইনবোর্ড লাগিয়েছিলেন। এনিয়ে একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।
সাইন বোর্ডের ভাষা সামাজিক সম্প্রীতির বিরুদ্ধে যাচ্ছে দেখে পুলিশ-প্রশাসন তৎক্ষণাৎ তৎপর হয়ে ওঠে এবং গ্রামবাসীদের বোর্ড সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়। রবিবার সকালে বোর্ডগুলি সরিয়ে দেওয়া হলেও পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর বোর্ডের ভাষা সংশোধন করে নতুন করে লাগানো হয়েছে।
গ্রামবাসীরা বলছেন যে সমস্ত গ্রামের প্রতিনিধিরা পারস্পরিক সম্মতির পরেই বোর্ড লাগিয়েছেন। গ্রামগুলো রক্ষার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
রুদ্রপ্রয়াগ জেলার পুলিশ সুপার অক্ষয় প্রহ্লাদ কোন্ডে বলেন, বিষয়টি পুলিশের নজরে রয়েছে। পুলিশ কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা সমাজকে সম্বোধন করা বোর্ডগুলি সরিয়ে দিয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে উখিমঠের এসডিএম অনিল কুমার শুক্লা বলেন, চুরি, অপরাধ এবং অন্যায় কাজে গ্রামে যাওয়া বন্ধ করার অধিকার গ্রামবাসীদের রয়েছে।
কিন্তু কোনো বিশেষ সমাজ বা ব্যক্তিকে টার্গেট করে কোনো ধরনের কাজ করার অধিকার কারও নেই। পরিবেশ দূষিত করে এমন কার্যকলাপ রোধে রাজস্ব পুলিশও নজরদারি করছে।
বিষয়টি সরকারের আমলে রয়েছে। তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। প্রশাসনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।