শুরুটা হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের হাত ধরে। উত্তরপ্রদেশের ভোট শুরুর ঠিক আগে তাঁর একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। সেখানে তিনি, রাজ্যবাসীকে বলেছিলেন, 'সতর্ক থাকুন! উত্তরপ্রদেশকে আরেকটা জম্মু ও কাশ্মীর, কেরল কিম্বা বাংলা হতে দেবেন না।' তার জবাবে রাহুল গান্ধী একটি টুইট করেন। সেখানে দেশের ঐক্য নিয়ে তিনি সুর চড়ান। টুইটে একটি লাইন ছিল 'কাশ্মীর থেকে কেরল, গুজরাত থেকে পশ্চিমবঙ্গ।' এরপরই ক্ষোভ উগড়ে দেন উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরা। তাঁরা একযোগে এই টুইটকে একহাত নিয়ে কার্যত বার্তা দিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের পরও 'আমরা আছি...'। কংগ্রেস নেতার টুইটে উত্তরপূর্বের রাজ্যের উল্লেখ না থাকায়, তা নিয়ে ক্ষোভ জাহির করে বিজেপি শাসিত অসম থেকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীরা।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা টুইটে লেখেন, 'ভারত এই মিলনের অনেক উর্ধ্বে, আমরা একটি গর্বিত জাতি, আপনার টুকড়ে টুকড়ে দর্শনে বন্দি নয় ভারত, আপনার সমস্যাটা কি জাতি, জাতীয়তা এবং জাতীয়তাবাদ নিয়ে? আর হ্যালো.. বাংলার পর আমরা উত্তরপূর্বও আছি।' এর আগে, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বক্তব্যের পরই রাহুল গান্ধী লেখেন, ' ভারতের চেতনাকে অপমান করবেন না।' তার আগে তিনি সংস্কৃতি থেকে ভাষার ঐক্য তথা মিলন সম্পর্কে বেশ কয়েকটি লাইন উল্লেখ করেন নিজের টুইটে।
এদিকে, রাহুলকে ছেড়ে কথা বলেননি বিজেপি শাসিত ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। তিনি নিজের টুইটে লেখেন, 'জ্ঞান দিতে গিয়ে রাহুল গান্ধী ভুলে গিয়েছেন সুন্দর উত্তর পূর্বের কথা। ঠিক ওঁর প্রপ্রতিমহের মতো, যিনি আমাদের এলাকাকে বাদ রেখে দিয়েছিলেন। আমরাও ভারতের একটি গর্বিত অংশ। আপনার উদাসীনতাই উত্তরপূর্ব থেকে আপনার দলের মুছে যাওয়ার কারণ।' ছেড়ে কথা বলেননি মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং। তিনি তাঁর 'যখন একটি এলাকার অস্তিত্বকে মেনে নেওয়া হয় না, কীভাবে মনিপুরের মানুষের থেকে কংগ্রেস ভোট চাইতে পারে?কে ভাঙছে দেশকে?'
এদিকে, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বক্তব্যের পর কার্যত জাতীয় রাজনীতিতে দোলাচল শুরু হয়। করলের মুখ্যমন্ত্রী পি বিজয়ন এক টুইটে এর জবাবে লেখেন, উত্তরপ্রদেশ যদি কেরল হয়ে যায়, তাহলে তারা সুশিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা, সামাজিক উন্নয়ন পাবে। উত্তরপ্রদেশের ভোট শুরুর আগে যোগী আদিত্যনাথের বার্তাকে যে তিনি খুব একটা ভালোভাবে নেননি, তা নিজের টুইটে জানান দেন এই বাম নেতা।