ভয়াবহ বন্যায় কেঁপে উঠেছে কিম জং উনের উত্তর কোরিয়া। প্রাণ হারিয়েছেন বহু সংখ্যক মানুষ। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বন্যার কবলে পড়ে উত্তর কোরিয়ার চাগাং প্রদেশের বেশ কিছু অংশ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর সিনুইজু এবং পার্শ্ববর্তী শহর উইজুতে চার হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি, সাত হাজারেরও বেশি একর কৃষি জমি এবং অনেক সরকারী বিল্ডিং, রাস্তা এবং রেলপথ প্লাবিত হয়েছে। আর এই বিধ্বংসী বন্যা ঠেকাতে না পারায় ৩০ জন উচ্চপদস্থ অধিকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ক্ষুব্ধ কিম জং।
আরও পড়ুন: (Himachal assembly: বহিষ্কৃত MLA-রা পাবেন না পেনশন, হিমাচল বিধানসভায় বিল পাশ, দলবদল রুখতে পদক্ষেপ)
উত্তর কোরিয়ার সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি অর্থাৎ কেসিএনএ অনুসারে, বিপর্যয় প্রতিরোধে যারা নিজেদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করেননি, তাঁদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কিম জং-উন। তবে কারা এই হতভাগ্যরা, সে বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে গত মাসের শেষের দিকে এক বন্যাকবলিত এলাকার ২০ থেকে ৩০ জন অধিকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
এই মুহূর্তে, বন্যার ঠেকাতে না পারায়, বন্যার সময় দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের জন্য চাগাং প্রদেশের পার্টির সেক্রেটারি কাং বং-হুনের কর্মকাণ্ডের তদন্ত চলছে বলে জানা গিয়েছে। কাং, এতদিন যুদ্ধাস্ত্র শিল্প বিভাগের প্রাক্তন ডেপুটি-ডিরেক্টর পদেও কাজ করেছিলেন। এমনকি বন্যা কবলিত এলাকার পরিদর্শনের সময় কিম জং-উনের সঙ্গেও ছিলেন বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: (Kanhaiya Lal Murder Case: মাথা কাটা হয়েছিল উদয়পুরের দর্জির, সেই খুনে অভিযুক্তের জামিন দিল হাইকোর্ট)
প্রবল বন্যার কারণে ধ্বংসযজ্ঞ
উত্তর কোরিয়ায় জুলাই মাসে ভারী বর্ষণে ভূমিধস ও বন্যা দেখা দেয়। এতে ৪,১০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ বাড়িছাড়া হয়েছেন। মৃত্যুর সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ৭,৪১০ একর কৃষি জমিও প্লাবিত হয়েছে বলে খবর। কিম জং বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
কিম জং উন বলেছেন, বন্যা কবলিত এলাকা পুনর্নির্মাণে দুই থেকে তিন মাস সময় লাগবে। বন্যা কবলিত এলাকার কিছু অংশকে দুর্যোগ প্রবণ এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ায় বন্যা নতুন কিছু নয়। পাহাড়ে ব্যাপক হারে বন উজাড় করায় এই ভয়াবহ দুর্যোগ প্রাণঘাতী হয়ে ফিরে আসছে।
আরও পড়ুন: (Ram Rahim: রাম রহিমকে ৬ বার প্যারোলে মুক্তি দিয়েছিলেন, সেই জেল আধিকারিককে প্রার্থী করল BJP)
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম কোরিয়ান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির পর থেকে উত্তর কোরিয়ায় জনসাধারণের মৃত্যুদণ্ডের ঘটনা বেড়েছে। করোনার আগে উত্তর কোরিয়ায় এক বছরে ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। কিন্তু এখন প্রতিবছর প্রায় ১০০ জনকেই এই শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।