আন্তঃমহাদেশ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করে ফের একবার জাপানের জলসীমায় মিসাইল পাঠাল উত্তর কোরিয়া। আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়াকে বার্তা পাঠাতেই উত্তর কোরিয়ার এই মিসাইল উৎক্ষেপণ বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন সামরিক অনুশীলনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই ড্রিলের নির্দেশের পরপরই ওয়াসং-১৫ মিসাইল ছোড়ে উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার ছোড়া মিসাইল শনাক্ত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার রাডারেও। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী। এই মিসাইল উত্তর কোরিয়ার আকাশসীমা দিয়ে উড়ে যায়। এদিকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, উত্তর কোরিয়ার মিসাইল জাপানের জলসীমা বা 'এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে' এসে পড়েছে। (আরও পড়ুন: ভাইপোর বিয়েতে লক্ষাধিক টাকা ওড়ালেন প্রাক্তন গ্রাম প্রধান, ভাইরাল ‘নোটের বৃষ্টি’)
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনার তরফে দাবি করা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া যে মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছে সেটি আমেরিকার মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম। উল্লেখ্য, এবছরে উত্তর কোরিয়ার তরফে এটাই প্রথম মিসাইল উৎক্ষেপণ ছিল। এদিকে উত্তর কোরিয়ার মিসাইল উৎক্ষেপণের জেরে আমেরিকা ও তার সঙ্গী - জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া বেশ উদ্বেগে রয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা উত্তর কোরিয়ার মিসাইল উৎক্ষেপণের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। জানা গিয়েছে, উত্তর কোরিয়া কাউকে বিস্তারিত কিছু না জানিয়েই এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গতবছর রেকর্ড ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। শেষের কয়েক মাসেই ৫০-এর ওপর ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে উত্তর কোরিয়া। এই আবহে গতবছরই কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন এক অনুষ্ঠানে জানিয়ে দেন, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক শক্তির অধিকারী হওয়াই লক্ষ্য তাঁর। সেই সময় ওয়াসং ১৭-কে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী কৌশলগত অস্ত্র বলে অভিহিত করেছিলেন। উল্লেখ্য, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে উত্তর কোরিয়া গতবছর প্রায় ১০০টি ব্যালিস্টিক এবং অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে। উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পরে উত্তর জাপানে অবস্থিত মার্কিন বিমান ঘাঁটি রেড অ্যালার্টে চলে গিয়েছে।