বিনামূল্যে অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকা নেওয়ার সুযোগ ছিল। সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকী ‘বন্ধু’ রাষ্ট্র চিনেরও করোনাভাইরাস টিকা নিতে ইচ্ছুক নয় উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগ থাকা একটি সংস্থাকে উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে সংবাদসংস্থা রয়টার্স।
ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্ট্র্যাটেজির (আইএনএএস) রিপোর্ট অনুযায়ী, গত মে মাসে প্রথম দফায় উত্তর কোরিয়ায় করোনা টিকা পৌঁছানোর কথা ছিল। কিন্তু আলোচনায় দীর্ঘসূত্রতার জেরে এখনও টিকা পৌঁছায়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় উত্তর কোরিয়ার প্রায় ২০ লাখ টিকার ডোজ পাওয়ার কথা ছিল। যে কর্মসূচির আওতায় টিকা প্রদান করে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (এসআইআই)। কিন্তু রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইএনএএস রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে সুরক্ষাজনিত উদ্বেগের কারণে অ্যাস্ট্রোজেনেকা টিকা বাতিল করে দিয়েছে পিয়ংইয়ং। শুধু তাই নয়, কার্যকারিতা নিয়ে উদ্বেগের কারণে চিনা করোনা টিকা নিতেও দোটানায় আছে কিম জং উনের প্রশাসন।
দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগ থাকা একটি সংস্থা রিপোর্ট অনুযায়ী, রাশিয়ার করোনা টিকার প্রতি ঝোঁক আছে উত্তর কোরিয়া। সেইসঙ্গে কিম প্রশাসনের আশা, বিনামূল্যে টিকা পাঠাবে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ। আইএনএএসে কোরিয়া উপদ্বীপের কৌশলগত গবেষণার অধিকর্তা লি স্যাং-কিউং বলেন, ‘রাশিয়ার টিকা ঝুঁকছে উত্তর কোরিয়া। কিন্তু এখনও কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি।’
এমনিতে কয়েকজন গ্রহীতার শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার জেরে আমেরিকা এবং ইউরোপের কয়েকটি দেশ অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকা প্রদান বন্ধ করে দিয়েছে। ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি জানিয়েছে, অ্যাস্ট্রোজেনেকা টিকার ফলে যে ফায়দা মেলে, তা ঝুঁকির থেকে ঢের বেশি। যদিও কোনও ঝুঁকি নেয়নি আমেরিকার মতো দেশ। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, আমেরিকার মতো দেশের কাছে ফাইজার-বায়োএনটেক এবং মডার্নার মতো দামী টিকা কেনার মতো অর্থ আছে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার জেরে উত্তর কোরিয়াকে আর্থিক অনুদানের উপর নির্ভর করে থাকতে হয়। ফলে কিম প্রশাসনের হাত-পা বাঁধা। যদিও কিম প্রশাসনের দাবি, সেদেশে একজনও করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলেনি।