ভোটের ডিউটি করতে গিয়ে করোনা সংক্রমণ। আর তার ফলেই মৃত্যু হয়েছে উত্তরপ্রদেশের ১,৬০০-র বেশি শিক্ষকের। সেই রাজ্যের একাধিক শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে এমনই দাবি করা হচ্ছিল। কিন্তু সেই সব দাবিই ভিত্তিহীন বলে দাবি করল যোগী আদিত্যানাথ সরকার। নির্বাচনী ডিউটিতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট তিনজন শিক্ষকের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানানো হল।
উত্তরপ্রদেশের শিক্ষা দফতরের সহ-সচিব সত্য প্রকাশ জানান, 'জেলাশাসকদের পাঠানো রিপোর্ট থেকে যাচাই করেই আমাদের পরিসংখ্যান দেওয়া হল। তিন জন শিক্ষকের অকাল প্রয়াণে আমরা শোকস্তব্ধ। ওঁদের পরিবারের পাশে যাতে দাঁড়ানো যায়, সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।'
অন্যদিকে সরকারের এই পরিসংখ্যান মানতে নারাজ উত্তরপ্রদেশের প্রাথমিক শিক্ষক সংঘের প্রধান দীনেশচন্দ্র শর্মা। তিনি বলেন, 'সরকারি স্কুলের কর্মীদের বিষয়ে শিক্ষা দফতরের এই উদাসীন আচরণ খুবই দুর্ভাগ্যজনক।'
কেন এমনটা বলছেন তিনি?
একাধিক শিক্ষক সংগঠনের ব্যাখ্যা, গত ৯ থেকে ১১ এপ্রিল শিক্ষকরা ভোটের ডিউটিতে গিয়েছিলেন। এই তিনদিনের মধ্যে যদি কারও করোনা ধরা পড়ে, তবেই সেটা সরকার হিসাব করছে। কিন্তু, সেই সময়ে সংক্রমণ হয়ে এক সপ্তাহ পর লক্ষণ আসতে শুরু করা এবং তারও ৩-৪ দিন পর টেস্ট রিপোর্টে পজিটিভ আসতেই পারে। সেক্ষেত্রে কিন্তু সরকার পোল ডিউটি থেকে করোনা সংক্রমণ হয়েছে, তা স্বীকার করছে না। এমনটাই দাবি শিক্ষক সংগঠনের।
করোনায় পোল ডিউটিতে গিয়ে শিক্ষকদের মৃত্যুর বিষয়টি পৌঁছেছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট পর্যন্ত। গত ১২ মে এলাহাবাদ হাইকোর্ট উত্তরপ্রদেশ সরকারকে মৃত শিক্ষকদের পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়।