তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের অসহযোগিতার কারণেই বাংলায় সিবিআই বা অন্যান্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অধিকাংশ মামলার সুরাহা হয় না। কারণ, বাংলায় একটাও বিশেষ সিবিআই আদালত নেই। তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলের প্রশ্নের উত্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্যসভায় সিবিআই-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মামলার সুরাহা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ। ক্ষুব্ধ গোখলে বিজেপির 'জমিদারী' নিয়েও প্রশ্নে তোলেন।
রাজ্যসভায় সাকেত বলেন, যে কোনও কিছুতেই তদন্তের ভার দিয়ে দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। অথচ তার কোনও ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না। ছ’হাজার ৯০০টিরও বেশি মামলার তদন্তে সিবিআই-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তারই জবাব দিতে উঠে অমিত শাহ বলেন, সিবিআই বা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি আদৌ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে নেই। এই সব মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে নিছক তর্ক করার জন্য। এরপরেই তিনি বলেন, 'যে মামলাগুলির কথা বলা হচ্ছে তা দুর্নীতির তদন্তের জন্য নয়। ভোট-পরবর্তী হিংসার মামলায় উচ্চ আদালত ও শীর্ষ আদালতের নির্দেশেই সিবিআই তদন্তভার নিয়েছে। ভোট পরিস্থিতিতে বহু মানুষ অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। একাধিক জন ধর্ষণেরও শিকার। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নির্যাতিত ও নির্যাতিতারা। তাতেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।'
তৃণমূল সাংসদকে কটাক্ষ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এরা আদালত মানে না। কারা জমিদারি চালাচ্ছে তা সারা দেশ দেখছে।’ বেশির ভাগ মামলার সুরাহা না হওয়ার কারণ হিসেবে শাহের জবাব, ‘বাংলায় একটাও বিশেষ সিবিআই আদালত নেই।’ পাশাপাশি তর্কের সময় শাহের উদ্দেশে সাকেত বলেছিলেন, 'আপনি ভয় পেয়ে গিয়েছেন।' তার পাল্টা জবাবে শাহের উত্তর, ‘আমি কারও দয়ায় এখানে আসিনি। কোনও মতাদর্শের বিরোধিতা করতে করতে এখানে ঢুকে পড়িনি। সাতবার জয়ী হয়ে এখানে এসে পৌঁছেছি।'এরপরই তুমুল হইহট্টোগোল শুরু হয় রাজ্যসভায়।