কংগ্রেস সখ্যের বিরুদ্ধে আগেই দলীয় মুখপত্র জাগো বাংলায় বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন তিনি নয়াদিল্লি সফরে রয়েছেন। দেখা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। একাধিক কংগ্রেস নেতা যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। বৈঠক করেছেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর সঙ্গেও। তারপরই প্রশ্ন উঠতে থাকে, কংগ্রেস সভানেত্রীর সঙ্গে দেখা কেন করছেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী? জবাবে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এটা সাংবিধানিকভাবে বাধ্যতামূলক নয়।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে এখন আলোড়ন পড়ে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। নানা জল্পনা, গুঞ্জন শুরু হয়েছে। ঠিক কী বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এদিন তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘আমি শুধুমাত্র সময় নিয়ে এবার এসেছি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। পাঞ্জাব নির্বাচনের জন্য সমস্ত নেতারা ব্যস্ত। কাজটা আগে। কেন প্রত্যেকবার সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে হবে? এটা কখনই সাংবিধানিকভাবে বাধ্যতামূলক নয়।’ ইতিমধ্যেই মেঘালয়ের প্রাক্তন কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা–সহ ১২জন বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তারপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য কংগ্রেস–তৃণমূল জোট নিয়ে সংশয় তৈরি করল বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে গোয়া–ত্রিপুরাতেও সংগঠন মজবুত করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই সুস্মিতা দেব এবং লুইজিনহো ফেলেইরো–কে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যসভায় পাঠিয়েছে। অন্যদিকে কীর্তি আজাদ, অশোক তানওয়ার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। ফলে কংগ্রেস কার্যত ফাঁকা হয়ে যাওয়ার অবস্থা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সাংবিধানিকভাবে বাধ্যতামূলক নয় মন্তব্য জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে তোলপাড় করে দিয়েছে।
তবে তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যাপ্তি আরও বাড়তে চলেছে বলে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন। প্রতিটি বিজেপি শাসিত রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস সংগঠন মজবুত করবে বলেই খবর। এই বিষয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘আমি বারাণসী সফরে যাবো। কমলাপতি ত্রিপাঠীর পরিবার এখন আমাদের সঙ্গে আছে। অখিলেশ যাদব যদি আমাদের সাহায্য চান উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে হারাতে তাহলেও সেখানেও যাবো।’