দিল্লিতে কান পাতলেই এখন একটাই কথা। হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের ভর্তি নিচ্ছে না, করোনা সন্দেহে টেস্ট করতে গেলেও পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। শনিবার এই দুই ইস্যুতে রাজ্য সরকারের মতামত তুলে ধরলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
তিনি বলেন,' কে বলছে যে টেস্ট হচ্ছে না। আজও ৫৩৩০টি টেস্ট হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে দিল্লিতে ৪২টি ল্যাব আছে। এর মধ্যে ছয়টি ঠিক করে কাজ করছে না বলে বন্ধ আছে। কিন্ত বাকি ৩৬টি তো চলছে। টে্স্ট করতে চাইলে যে কোনও সরকারি ১৭টি ল্যাবে যেতে পারেন। বেসরকারি ল্যাবেও যেতে পারেন। '
তবে একই সঙ্গে তিনি বলেন যে সীমিত টেস্টিংয়ের ক্ষমতা আছে। কেজরিওয়াল বলেন যে যাদের কোনও করোনার চিহ্ন নেই, সবাই যদি টেস্ট করতে চলে যান, তাহলে তো সিস্টেম বসে যাবে। মানুষ ভয় পাচ্ছে, তাই টেস্ট করাতে চাইছে। এই ভয়টা কাটাতে হবে, জানান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন যে সবাই যাদের করোনার সিম্পটম নেই, তারা দয়া করে টেস্ট করতে চাইবেন না। তাহলে যাদের দরকার তারা সুযোগ পাবে না।
স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের এক চিকিত্সক বলেছেন কম টেস্ট হলে করোনা রোগী ধরা পড়বে না। যারা করোনা পজিটিভ কিন্তু শরীরে চিহ্ন নেই, তাদের থেকে অন্যদের হয়ে যেতে পারে করোনা। টেস্টিং না বাড়ালে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকবে কিন্তু কেউ জানতে পারবে না।
আগে কোনও ব্যক্তির করোনা হলে তার পরিবারের সবার করোনা টেস্ট হত। এখন শুধু যাদের করোনার চিহ্ন আছে তাদের পরীক্ষা করা হচ্ছে। অনেক জায়গায় তো টেস্ট করা একেবারে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এদিন কেজরিওয়াল বলেন কোনও হাসপাতাল করোনা সন্দেহভাজন রোগীকে ফেরাতে পারবে না। এই সংক্রান্ত একটা অর্ডার দিল্লি সরকার দেবে বলে তিনি জানান। কেজরিওয়াল বলেন কোনও সম্ভাব্য করোনা রোগী এলে ফেরানো যাবে না।
কোন হাসপাতালে কত বেড আছে, এটার জন্য একটা অ্যাপ চালু করেছেন কেজরিওয়াল। রোগীকে কোনও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে চেক করে নেওয়া যায়, আদৌ সেখানে আসন আছে কিনা। কিন্তু অ্যাপে আসন দেখালেও হাসপাতাল বলছে বেড নেই। অনেকেই এই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন। কেজরিওয়াল বলেন কটা দিন সময় দিন, বেডের জন্য কালোবাজারি বন্ধ করে দেব। তিনি বলেন অনেক হাসপাতাল ভুল তথ্য দিচ্ছে, সেটা বরদাস্ত করা হবে না।