বুধবার প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, তেল আভিভ এখন বসবাসের দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর। ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (EIU)-এর মতে, জাতীয় মুদ্রা, শেকেল এবং সেই সঙ্গে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির কারণে ইজরায়েলি শহরটি প্রথমবার এই শীর্ষস্থানে পৌঁছাল। একধাক্কায় প্রায় পাঁচ ধাপ এগিয়েছে এই শহরের স্থান।
বিশ্বব্যাপী জীবনযাত্রার ব্যয় সূচকে ১৭৩টি শহরে পণ্য ও পরিষেবার জন্য মার্কিন ডলারে মূল্যের তুলনা করে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তেল আভিভের পরে, প্যারিস এবং সিঙ্গাপুর যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে আছে। এরপরেই নাম আছে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ এবং হংকং-এর। নিউ ইয়র্ক ষষ্ঠ এবং জেনেভা সপ্তম নম্বরে রয়েছে। ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (EIU) র্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম স্থানে কোপেনহেগেন, নবম স্থানে লস অ্যাঞ্জেলেস এবং দশম স্থানে জাপানের ওসাকা আছে।
গত বছর যৌথভাবে প্রথম স্থানে ছিল প্যারিস, জুরিখ ও হংকং। এই বছরের তথ্যগুলি অগস্ট এবং সেপ্টেম্বরে সংগ্রহ করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক অতীতে পণ্য পরিবহন ও অন্যান্য কারণে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে এই শহরগুলিতে। গত পাঁচ বছরে রেকর্ড করা দ্রুততম মুদ্রাস্ফীতির হার দেখা গিয়েছে৷
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণেও দাম বেড়েছে কিছু স্থানে। ঘাটতির ফলে ইরানের রাজধানী র্যাঙ্কিংয়ে ৭৯তম থেকে ২৯তম স্থানে উঠে এসেছে। বসবাসের জন্য সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কা বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা শহরের তালিকায় স্থান পেয়েছে। ভারতের আমদাবাদও সস্তা শহরের তালিকায় স্থান পেয়েছে।