দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতীয়দের বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ উঠেছে। সেই বিষয়টি নিয়ে কেপটাউনের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করল ভারত। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার তরফে দাবি করা হয়েছে, হিংসাত্মক পরিস্থিতির ফায়দা তুলছে ‘সুবিধাবাদী’ লোকজন। ভারতীয় ও ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের উপর হামলার যে ‘ঘটনা’ ঘটছে, তা বর্ণবিদ্বেষী আক্রমণ নয়।
আদালত অবমাননার দায়ে সম্প্রতি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জেকব জুমার গ্রেফতারির পর থেকেই উত্তাল হয়ে উঠছে দক্ষিণ আফ্রিকার একাংশ। লাগামছাড়া হয়েছে হিংসা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জ্বলছে আগুন। ইতিমধ্যে মৃতের সংখ্যা ৭০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয়েছে সেনা। হিংসার ছড়ানোর অভিযোগে ১,২৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু এখনও অগ্নিগর্ভ কাজুলু-নাটাল, গৌতেংয়ের মতো প্রদেশ।
সেই পরিস্থিতিতে ভারতীয় বা ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের যে হামলার অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে ফোনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিদেশমন্ত্রী নালেদি প্যান্ডরের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। সেইসঙ্গে নয়াদিল্লিতে দক্ষিণ আফ্রিকার হাইকমিশনার জোয়েল সিবুসিসু দেবেলের সঙ্গে বৈঠক করেন বিদেশ মন্ত্রকের সচিব সঞ্জয় ভটাচার্য।
নাম গোপন রাখার শর্তে কয়েকজন আধিকারিক জানিয়েছেন, জয়শংকরের সঙ্গে প্যান্ডরের ‘আন্তরিক ও খোলাখুলি’ কথা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ প্রশাসন। খুব শীঘ্রই পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলেও আশাপ্রকাশ করেছে কেপটাউন। সেইসঙ্গে ভারতীয় ও ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের উপর হামলার অভিযোগের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে প্যান্ডর দাবি করেছেন, পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ‘সুবিধাবাদী’ লোকজন লুঠতরাজ এবং হিংসাত্মক কাজ করছে। যা গত ১২ জুলাই জাতির উদ্দেশে ভাষণে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। সূত্রের তরফে বলা হয়েছে, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা জানিয়েছে যে এখন যে সব ঘটনা ঘটছে, তা অপরাধমূলক কাজ। রাজনৈতিক বা বর্ণবিদ্বেষমূলক নয়।’