অধস্তন সহকর্মীদের পারফরম্যান্সে একেবারেই সন্তুষ্ট নয়। আর তার জেরেই পুলিশের বড়কর্তার নির্দেশে লকআপের মধ্যে দু-ঘণ্টার জন্য রেখে দেওয়া হল পাঁচ পুলিশকর্মীকে। বিহারের নওদা জেলার পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে বিহারের পাঁচজন পুলিশ কর্মী লকআপের মধ্যে নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলছেন।
সূত্রের খবর, নওদার এসপি গৌরব মঙ্গলা তিনজন অ্য়াসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টর ও দুজন সাব ইনসপেক্টরের কাজকর্মে একেবারেই সন্তুষ্ট ছিলেন না।এরপরই বৃহস্পতিবার রাতে ঘণ্টা দুয়েকের জন্য তাঁদের লক আপের মধ্যে পুড়ে ফেলেন তিনি।
এদিকে এনিয়ে পুলিশে অন্দরেও শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তবে এনিয়ে সংবাদমাধ্যমের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল পুলিশ সুপারের সঙ্গে। তাঁর মতে, গোটাটাই ভুয়ো খবর। এদিকে পদস্থ পুলিশ কর্তারাও এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে বিহার পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন ইতিমধ্যেই এনিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
তিনি বলেন, পুলিশের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে এনিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এই ধরনের ঘটনা ঔপনিবেশিক শাসনে হত। এই ঘটনা বিহার পুলিশকে আরও নীচে নামিয়ে দিল। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে পুলিশ সংগঠনের দাবি, এসপি গোটা ঘটনা চাপা দিতে নানা চেষ্টা চালাচ্ছেন। সিসি ক্যামেরার ফুটেজকে সরানোর চেষ্টাও হয়েছিল। এদিকে ঘটনার জেরে বিহারের মুখ্যসচিব নির্দেশ জারি করেছেন যাতে অধস্তন কর্মীদের সঙ্গে যথাযথ ব্যবহার করা হয়।