মাস্ক ঠিক মতো না পড়লেই শাস্তিস্বরূপ তাঁকে চেক পোস্টে ডিউটি দিতে হবে, এমনই নিদান জারি করেছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান।এর ফলও অবশ্য হাতে নাতেই পাওয়া যায়।কিছুদিনের মধ্যেই সবাই মাস্ক ঠিক মতো পড়া শুরু করে দেয়। এখন আর নতুন করে করোনা আক্রান্তের কোনও খবর নেই গ্রামে।গ্রাম পঞ্চায়েতের এই উদ্যোগকে অবশ্য স্বাগত জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
উত্তরপ্রদেশ ঘেঁষা রাজস্থানের ঢোলপুরের কাছে একটি ছোট্ট গ্রামের ঘটনা। এই গ্রামেরই পঞ্চায়েত প্রধান অজয় পাল শর্মা বলেন, ‘গ্রামের মানুষের মধ্যে একটা ধারণা কাজ করত যে করোনা রোগটা বড় শহরেই হয়। গ্রামে হয় না। সেই জন্য মানুষের মধ্যে করোনা নিয়ে সচেতনতার অভাব ছিল। সেই কারণে আমরা গ্রামের ঢোকার মুখে চেক পোস্ট বসানোর সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু এরপরেও সংক্রমণ বাড়তে থাকে।’ এরপরও গ্রামের ১১ জন করোনায় আক্রান্ত হন। এরপরে গ্রামের লোকেরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে। স্থির করা হয়, যাঁরা ঠিকভাবে মাস্ক পরবেন না, তাহলে তাঁদের চেক পোস্টে দু'দিন ডিউটি দিতে হবে। এরপরই অবশ্য পরিস্থিতি কিছুটা হলেও বদলাতে শুরু করে।
গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের মতে, গত সপ্তাহে ২৮ জনকে চেক পোস্টে ডিউটি করতে হয়েছে।পাহারা দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা ও স্যানিটাইজেশনের গুরুত্ব নিয়েও প্রচার করতে হয়।পঞ্চায়েতের এই উদ্যোগের পরেই গ্রামের মানুষের মধ্যে ঠিকভাবে মাস্ক পরা শুরু হয়ে যায়। এখন আর গ্রামে নতুন করে কেউ করোনা আক্রান্তের খবর নেই। যে ১১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিল, তাঁরাও সুস্থ হয়ে গিয়েছে।
জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ ভ্যাকসিন নিয়েছে। গ্রামের ভিতরে স্যানিটাইজেশনের কাজও ঠিকভাবে চলছে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পঞ্চায়েত স্তরে এই ধরনের কাজ আরও চলবে।