টাওয়ার বা নেটওয়ার্ক না থাকলেও ফোন করা যাবে। ব্যবহার করতে পারবেন ইন্টারনেট। এমনই সুযোগ পেতে চলেছেন রিলায়েন্স জিয়ো, বিএসএনএল (ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড) এবং এয়ারটেলের গ্রাহকরা। কারণ 'ডিজিটাল ভারত নিধি'-র হাত ধরে ওই তিনটি টেলিকম সংস্থা একই ছাতার তলায় এসে গিয়েছে। আর সেজন্য কোনও এলাকায় যদি কোনও নির্দিষ্ট টেলিকম সংস্থার টাওয়ার নাও থাকে, তাহলে 'ডিজিটাল ভারত নিধি'-র টাওয়ারের সুবাদে ফোন করতে পারবেন। ৪জি ইন্টারনেট পরিষেবাও ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহকরা।
নয়া কর্মসূচির সূচনা কেন্দ্রীয় সরকারের
আর পুরো বিষয়টার নেপথ্যে আছে 'ইন্ট্রা সার্কেল রোমিং' (আইসিআর) পরিষেবা। 'সঞ্চার সাথী অ্যাপ'-র পাশাপাশি যে পরিষেবা সম্প্রতি চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকারের টেলিকমিউনিকেশন দফতর। ওই পরিষেবার আওতায় একে অপরের পরিকাঠামো ('ডিজিটাল ভারত নিধি' ভুক্ত) ব্যবহার করতে পারবে রিলায়েন্স জিয়ো, বিএসএনএল এবং এয়ারটেল। যে বিষয়টার সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা।
নিজের সংস্থার টাওয়ার না থাকলেও কোনও অসুবিধা নেই!
কারণ এমন অনেক জায়গা থেকে যেখানে নির্দিষ্ট কোনও টেলিকম অপারেটরের নেটওয়ার্কের সমস্যা থাকে। ফলে অসুবিধায় পড়েন গ্রাহকরা। নয়া 'ইন্ট্রা সার্কেল রোমিং' (আইসিআর) পরিষেবার সুবাদে সেইসব জায়গায় নেটওয়ার্ক পাবেন তাঁরা। ফোন করতে পারবেন। ব্যবহার করতে পারবেন ইন্টারনেট। ৫জি পরিষেবা না পাওয়া গেলেও ৪জি মিলবে। এখন কোনও কোনও ফোনে হাইস্পিড ৫জি পরিষেবা থাকলেও বেশিরভাগ মানুষই ৪জি পরিষেবা ব্যবহার করে থাকেন। ফলে কোনও অসুবিধা হবে না গ্রাহকদের।
'ডিজিটাল ভারত নিধি' আসলে কী?
উল্লেখ্য, 'ডিজিটাল ভারত নিধি' তৈরি করা হয়েছে ২০২৩ সালের টেলকমিউনিকেশনের আইনের ভিত্তিতে। সেটার মাধ্যমে ফোনের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও ভালো করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে সস্তায় যাতে মানুষ পরিষেবা পান এবং দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় যাতে সহজে পরিষেবা পাওয়া যায়, তা নিশ্চিত করতেই 'ডিজিটাল ভারত নিধি' চালু করেছে ভারত সরকার।
'সঞ্চার সাথী অ্যাপ' চালু, কী কাজে লাগবে?
তারইমধ্যে 'সঞ্চার সাথী অ্যাপ' চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে সেই অ্যাপ পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি ফোনের মাধ্যমে যে জালিয়াতির ঘটনা বেড়ে চলেছে, তাতে লাগাম টানার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে 'ন্যাশনাল ব্রডব্যান্ড মিশন' ২.০ ভিশন নথি নিয়ে আসা হয়েছে। দেশের ১.৭ লাখ গ্রামকে যুক্ত করাই হল সেটার প্রাথমিক লক্ষ্য।