ইনসুলিন ফ্রিজে রাখতে হয়। যথেষ্ট ঝামেলার ব্যাপার। বেড়াতে গেলে কী হবে? এই সমস্যার সুরাহা পেলেন একদল গবেষক। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কলকাতার দুই বাঙালিও। চার বছরের প্রচেষ্টার পর থার্মোস্টেবল ইনসুলিন তৈরি করলেন তাঁরা।
গুরুতর ডায়াবেটিক রোগীরা যেখানেই যান, ইনসুলিন বহন করেন। কিন্তু বেড়াতে গিয়ে হোটেলে তো সবসময় আর ফ্রিজ থাকে না। অনেকের বাড়িতে আবার ফ্রিজ নেই। কিন্তু এই ইনসুলিনে থাকছে না সেই চিন্তা। যতক্ষণ ইচ্ছা সাধারণ তাপমাত্রাতেই রাখা যাবে এই ইনসুলিন।
গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন বোস ইনস্টিটিউট এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব কেমিকাল বায়োলজি (IICB)-র এবং হায়দরাবাদের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিকাল টেকনোলজি (IICT)-র দুই বাঙালি বিজ্ঞানী। একজন বোস ইনস্টিটিউটের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর শুভ্রাংশু চট্টোপাধ্যায়। অপরজন পার্থ চক্রবর্তী, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব কেমিকাল বায়োলজির প্রিন্সিপাল সায়েন্টিস্ট।
ইনসুলিন সাধারণত চার ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করতে হয়। নব আবিষ্কৃত ইনসুলিনটির নাম দেওয়া হয়েছে ইনসুলক জেসিবি। ৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে পারবে এটি।
ইনসুলিন একটি হরমোন। এটি দেহে অগ্ন্যাশয় দ্বারা উত্পাদিত হয়। এর সাহায্যে কোষ গ্লুকোজ ব্যবহার করে। যখন শরীর ইনসুলিন উৎপাদন বা ব্যবহার বন্ধ করে দেয়, তখন রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। চিকিত্সকরা এই অতিরিক্ত শর্করা নিয়ন্ত্রণের জন্য বাহ্যিকভাবে ইনসুলিন ইনজেকশনের পরামর্শ দেন। গুরুতর ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিরা সিরিঞ্জ, কার্তুজ সিস্টেম অথবা প্রিফিলড পেন-এর মাধ্যমে নিজেরাই ইঞ্জেকশন নিয়ে নেন।