শুধু চাল, ডাল, গম-সহ অত্যাবশ্যকীয় জিনিসই বিতরণ হবে না, সেই সঙ্গে বেশ কিছু জিনিসের বিল জমা থেকে শুরু করে লোন দেওয়াও চালু করা হতে পারে রেশন দোকানে। এই পরিষেবার ফলে সাধারণ মানুষ যেমন উপকৃত হবেন, তেমনই রেশন দোকানের মালিকরাও উপকৃত হবেন।
সম্প্রতি রেশন দোকানের রোজগার বাড়াতে খাদ্য মন্ত্রকের দফতর ই-গভর্ন্যান্স সার্ভিস ইন্ডিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে। সেই চুক্তি অনুযায়ী সিএসসি সার্ভিস পরিষেবা শুরু হলে বিদ্যুৎ, জল-সহ বেশ কিছু জিনিসের বিল এই রেশন দোকানেই জমা দেওয়া যাবে। পাশাপাশি প্যান কার্ডের আবেদন, পাসপোর্ট তৈরির আবেদন ও নির্বাচন সংক্রান্ত পরিষেবা ক্ষেত্রও এই রেশন দোকানের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। রেশন দোকানের ডিলারদের আর্থিক ক্ষমতা বাড়ানোর উপর জোর দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সম্প্রতি খাদ্য সচিব সুধাংশু পাণ্ডে রেশন দোকানগুলির আর্থিক ব্যবহারিকতা বাড়ানোর উপর একটি বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক ও পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের প্রতিনিধিরাও। রেশন দোকানের মাধ্যমে ছোট এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিতরণের প্রস্তাবও দিয়েছেন খাদ্য সচিব। সেইসঙ্গে রেশন দোকানের মাধ্যমে লোন পাইয়ে দেওয়ার বিষয়েও ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে ডিপার্টমেন্ট অফ ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেসের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, ইচ্ছুক রাজ্যগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করে এরজন্য তাঁরা প্রয়োজনীয় সাহায্য করবেন।