আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর কৃষকরা ভারত বনধের ডাক দিয়েছে। এবার কৃষকদের ডাকা ভারত বনধকে সমর্থনে এগিয়ে এল অন্ধ্রপ্রদেশের জগনমোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস সরকার। ইতিমধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের তেলগু দেশম পার্টি, আম আদমি পার্টি, কংগ্রেস, বামপন্থী দলগুলি কৃষকদের ডাকা এই বনধকে সমর্থন করেছে। এবার আরও এক অঙ্গরাজ্যের সরকার কৃষকদের এই বনধকে সমর্থন করল। উল্লেখ্য, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন। তবে এই রাজ্যে ভারত বনধ হবে, তার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
সম্প্রতি অন্ধ্রপ্রদেশের তথ্য ও পরিবহণ মন্ত্রী পারনি ভেঙ্কাটারামাইয়া জানান, ‘অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার কৃষকদের আন্দোলনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছে। কৃষকদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর যে বনধ ডাকা হয়েছে, তার পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, সরকারের তরফে রাজ্য জুড়ে ২৬ তারিখ মধ্যরাত থেকে ২৭ তারিখ বিকেল পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সকলে যাতে শান্তিপূর্ণভাবে এই বনধ পালন করেন, সেই আর্জিও জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী। পাশাপাশি রাজ্যের মন্ত্রী জানিয়েছেন, যেভাবে বিশাখাপত্তনম স্টিল প্ল্যান্টকে বেসরকারিকরণের পথে হাঁটছে কেন্দ্রীয় সরকার, তারও বিরোধিতা করা হচ্ছে। কারখানার কর্মীরা যে আন্দোলন করছেন, তাঁদেরও পাশে আছে সরকার।
ইতিমধ্যে সংশোধিত কৃষক আইনকে কালা আইন বলে সম্মোধন করে কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করতে এগিয়ে এসেছে আম আদমি পার্টি। আপ নেতা রাঘব চাড্ডা জানিয়েছেন, ‘দলের নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, তিনি এই কালা আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের পাশে সবসময় থাকবেন।’ কংগ্রেসের তরফেও বনধের প্রতি সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস নেতা গৌরব বল্লভ জানান, কংগ্রেস কৃষকদের ডাকা এই ভারত বনধকে সমর্থন করছে। কৃষকদের সঠিক ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পাওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রী ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুন করার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেই কথাও স্মরণ করিয়ে দেন এই কংগ্রেস নেতা। গত শুক্রবার নিজের বাসভবনে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। ওই বৈঠকের পর কৃষকদের ডাকা ভারত বনধের কথা জানিয়ে দেন তিনি।