স্নেহাশিস রায়
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা রাজনাথ সিং শুক্রবার বলেছেন, কংগ্রেস সংবিধানের মূল মূল্যবোধকে নিজের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে এর মূল মূল্যবোধকে ক্ষুন্ন করেছে। পাশাপাশি তিনি কংগ্রেস নেতৃত্বকেও একহাত নেন।
লোকসভায় দু'দিনের 'ভারতের সংবিধানের ৭৫ বছরের গৌরবময় যাত্রা নিয়ে আলোচনা'র সময় লোকসভায় বিতর্কের সূচনা করে রাজনাথ সিং বলেন, সংবিধান তৈরিতে বেশ কয়েকজন নেতার অবদানকে ইচ্ছাকৃতভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আজকাল দেখছি বহু বিরোধী নেতাই সংবিধানের কপি পকেটে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বাস্তবতা হল যে তারা তাদের পরিবারের কাছ থেকে এই অনুশীলনটি শিখেছে, যারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সংবিধানকে তাদের পকেটে রেখেছে,’ প্রবীণ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে পরোক্ষ আক্রমণ করে রাজনাথ সিং বলেছিলেন।
তিনি বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সংবিধানকে মাথার ওপরে রাখে।
রাজনাথ সিং ১৯৯৫ সালের একটি ঘটনার কথা স্মরণ করিয়ে দেন। যখন পাকিস্তান জাতিসংঘের জেনেভা সম্মেলনে কাশ্মীর সম্পর্কিত একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করেছিল। সেই সময় তৎকালীন বিরোধী দলনেতা অটল বিহারী বাজপেয়ী কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমা রাওয়ের সরকারের অধীনে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করতে জেনেভায় গিয়েছিলেন।
বিরোধী দলনেতা হয়েও বিদেশের মাটিতে নরসিমা রাওয়ের সরকারকে সব কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি। এরপরই ভারতে ফিরে কেন্দ্রীয় সরকারের কড়া সমালোচনা করেন তিনি। আমি লক্ষ্য করেছি যে আমাদের অনেক নেতা বিদেশে থাকাকালীন ভারত সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলেন - প্রতিটি রাজনৈতিক দলের বোঝা উচিত কীভাবে একটি পরিণত বিরোধী দলের ভূমিকা সম্পাদন করা হয়।
নিজের স্লোগান 'মহব্বত কি দুকান'-এর নাম না করেই কংগ্রেস নেতার সমালোচনা অব্যাহত রাখেন তিনি।
শাহ বানো মামলার কথা উল্লেখ করে রাজনাথ সিং যুক্তি দিয়েছিলেন যে সরকারি আইনের মাধ্যমে আদালতের আদেশ বাতিল করে রাজীব গান্ধীর পদক্ষেপ দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বাস্তবায়নে বাধা দিয়েছে।
রাজনাথ সিং বলেন, রাহুল গান্ধী যখন 'মহব্বত কি দুকান' (প্রেমের দোকান) নিয়ে কথা বলেন, তখন তা তাঁর কাছে 'হাস্যকর' মনে হয়েছিল।
এর প্রতিক্রিয়ায়, ওয়ানাড়ের সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী তাঁর ভাষণে বলেছিলেন, ‘মহব্বত কি দুকান’ আপনি হাস্যকর মনে করেন, কোটি কোটি ভারতীয় এর জন্য হেঁটেছেন',প্রসঙ্গত রাহুল গান্ধী ২০২২ সালে ভারত জোড়ো যাত্রা করেছিলেন।