ভারতের জনপ্রিয় দুই খাবার ও পণ্য সরবরাহকারী অনলাইন অ্য়াপ সংস্থা জোম্যাটো এবং সুইগির উপর বেজায় খাপ্পা 'ন্যাশনাল রেস্টব়্যান্ট অ্য়াসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া' বা এনআরএআই। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, শীঘ্রই এই দুই সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে চলেছে রেস্তোরাঁ মালিকদের এই জাতীয় সংগঠনটি।
তাদের বক্তব্য, অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে খাবার সরবরাহ করার ব্যবসায় একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করতে চাইছে সুইগি ও জোম্য়াটো। সেই কারণেই তাদের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনআরএআই।
সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, সম্প্রতি দু'টি আলাদা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম - যেমন - ব্লিঙ্কিট বিস্ত্রো এবং সুইগি স্ন্যাক -এর মাধ্যমে প্রাইভেট লেবেলিং এবং কুইক কমার্সের অধীনে নতুন উদ্যোগ শুরু করেছে বা করছে অভিযুক্ত সংস্থাগুলি। আর সেই কারণেই তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার কথা ভাবা হয়।
এনআরএআই-এর অভিযোগ, অনলাইনে খাবার সরবরাহ করার ব্যবস্থাপনায় নিয়ম-নীতির কোনও তোয়াক্কা করছে না সুইগি ও জোম্যাটো। নিজেদের ব্যবসা বাড়াতে তারা এমন সব কাজ করছে, যাতে অন্যায্য সুবিধা লাভ করতে পারে।
এনআরএআই-এর সভাপতি সাগর দারিয়ানি বলেন, 'আমরা যেটা একেবারেই মেনে নিতে পারি না, জ্য়োমাটো আর সুইগি সেটাই করছে। তারা প্রাইভেট লেবেলিং করছে এবং নিজেরাই খাবার বিক্রি করছে। ব্লিঙ্কিটের মাধ্যমে জোম্য়াটো সেই পরিষেবা প্রদান করছে। তার জন্য আলাদা করে বিস্ত্রো অ্য়াপ খোলা হয়েছে। আর সুইগি দ্রুত খাবার সরবরাহের জন্য স্ন্যাক অ্য়াপ লঞ্চ করছে।'
এনআরএআই-এর আরও অভিযোগ, সুইগি ও জোম্য়াটো যে শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট ইকো সিস্টেমে একাধিপত্য কায়েম করতে চাইছে, তাই নয়। তারা সংশ্লিষ্ট রেস্তোরাঁগুলিকেও গিলে খাওয়ার চেষ্টা করছে।
তারা যেভাবে প্রাইভেট লেবেলিং করছে এবং নিজেরাই খাবার বিক্রি করছে, তা কপিরাইট লঙ্ঘন করছে এবং সংশ্লিষ্ট আইন অমান্য করছে।
সুইগি ও জোম্য়াটোর এইসব কাণ্ডকারখানা দেখে এনআরএআই কর্তৃপক্ষ বলছে, এভাবে আসলে এই দুই সংস্থা ন্য়ায্য প্রতিযোগিতার সমস্ত সুযোগ ও সম্ভাবনা নষ্ট করে দিচ্ছে এবং দেশের হাজার হাজার রেস্তোরাঁকে অস্তিত্ব সঙ্কটে ফেলে দিচ্ছে।
এনআরএআই জানিয়েছে, এক্ষেত্রে প্রয়োজনে তারা সমস্ত রেস্তোরাঁকেই আইনি বর্ম ব্যবহার করতে সহযোগিতা করবে।
এনআরএআই-এর তরফে বলা হয়েছে, 'আমার নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করব। সুইগি ও জোম্য়াটো যাতে বাজারে একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে আইনি পদক্ষেপ করব।'
শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, সুইগি বা জোম্য়াটো - কোনও সংস্থাই তাদের বিরুদ্ধে ওঠা এইসব অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য় করেনি। সংবাদমাধ্যমের তরফে পাঠানো কোনও প্রশ্নের উত্তরও দেয়নি তারা।