৬০ বছর বয়সী মানিক দাস। অসমের মরিগাঁও জেলার বাসিন্দা ছিলেন। শুঁটকি মাছের বাজারে ছোট্ট একটা দোকান ছিল তাঁর। অসমে এনআরসি তালিকায় নাম উঠেছিল তাঁর। ২০১৯ সালের ২০শে নভেম্বর ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালের তরফে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। এরপরই শুরু হয় ভয়াবহ যন্ত্রণার দিন। নিজেকে ভারতবাসী প্রমাণ করতে নতুন লড়াই শুরু হয়েছিল ওই পরিবারের। পরিবারের দাবি, মানসিক যন্ত্রণা, অপমান, হয়রানি সহ্য করতে পারেননি মানিক দাস। ৩১শে জানুয়ারি আত্মহত্যা করেন তিনি। মরিগাঁওয়ের এসপি অপর্না নটরাজন বলেন, আমরা একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছি। গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এদিকে সূত্রের খবর, অসম বর্ডার পুলিশ ২০০৪ সালে মানিক দাসকে বিদেশি সন্দেহ করে প্রথম মামলা শুরু করে। তারপর তার কাছে নোটিশ পাঠাতে অন্তত ১৫টা বছর কেটে যায়। এদিকে মানিক দাসের আইনী পরামর্শদাতা দীপক বিশ্বাস বলেন, সমস্ত বৈধ কাগজপত্র যেমন প্যান কার্ড, আধার কার্ড, জমির রেকর্ড ছিল মানিক দাসের। ট্রাইবুনালে সব জানানো হয়েছিল। আমাদের আশা ছিল তিনি যে প্রকৃত ভারতীয় সেটা প্রমাণ করা সম্ভব হবে। কিন্তু পরিবারের দাবি, তার আগেই সব শেষ হয়ে গেল। বাংলাদেশি বলে তাঁকে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না তিনি। ক্রমে অবসাদে ডুবে যাচ্ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত এই চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন।