সদ্য ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ফিল্মটি মুক্তি পেয়েছিল। সেখানে বাস্তবের মাটিতে প্রবাসের বুকে এক মায়ের লড়াই তুলে ধরা হয়েছে। ঘটনা ছিল সাগরিকা চক্রবর্তীর। যিনি নিজের সন্তানদের হেফাজত পেতে দীর্ঘ আইনি লড়াই লড়েছেন। এরপপর উঠে এল আরও এক মায়ের যন্ত্রণার ঘটনা। তিনি প্রিয়দর্শিনী লিঙ্গরাজ পাটিল। যিনি সদ্য কর্ণাটকের বেলাগাভিতে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছেন। নেপথ্য়ে আত্মহত্যার ঘটনা। প্রিয়দর্শিনীর মৃত্যুর আগে, তাঁর সন্তানের হেফাজত তাঁর হাতছাড়া হয়। আর এই ঘটনা ঘটে অস্ট্রেলিয়ায়। তাঁর সন্তানদের হেফাজত সদ্য অস্ট্রেলিয়ার প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ নিয়েছে।
৪০ বছর বয়সী প্রিয়দর্শীনির অভিযোগ ছিল যে, তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে আশপাশের পড়শিরা বিরক্ত করছিলেন। এছাড়াও অস্ট্রেলিয় প্রশাসনের কয়েকজনও তাঁদের বিব্রত করেন বলে অভিযোগ। এই প্রিয়দর্শীনির পরিবার বহু দিন ধরে অস্ট্রেলিয়ার প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আইনি সংঘাতে ছিলেন। তাঁদের সন্তানের হেফাজত নিয়ে ছিল এই আইনি সংঘাত। প্রিয়দর্শীনির সন্তান অমর্ত্যর ছিল স্বাস্থ্যগত সমস্যা। সমস্যার সূত্রপাত অস্ট্রলিয়ার হাসপাতাল থেকে। সেখানে অভিযোগ তোলা হয়, মা হিসাবে প্রিয়দর্শীনি সঠিকভাবে যত্ন নিতে পারছেন না তাঁর সন্তানদের। এরপরই তাঁর সন্তানদের হেফাজত নিয়ে নেয় অস্ট্রেলিয়ার সরকার। পরপর একাধিক ঘটনা ঘটে যেতে থাকে এই আইনি সংঘাতের মধ্যে। এরপর প্রিয়দর্শীনি আবেদন জানান, যাতে তাঁর অস্ট্রেলিয় নাগরিকত্ব সরিয়ে দেওয়া হয়, তাতে তিনি ভারতীয় হিসাবে সন্তানদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। সংবাদ সংস্থা আইএনএসএর রিপোর্ট বলছে, প্রিয়দর্শীনির আবেদনে সাড়া দেয়নি অস্ট্রেলিয়া।
( কম খরচের ফোন কেনার কথা ভাবছেন? 'জিও ভারত'-এর এই হ্যান্ডসেটের সুবিধাগুলি দেখে নিন)
( Reliance Board: রিলায়েন্সের বোর্ডে এলেন আকাশ, অনন্ত, ইশারা! সরে দাঁড়ালেন মুকেশ-পত্নী নীতা)
এদিকে, সন্তানদের হেফাজত খুইয়ে ফেলতেই, ধীরে ধীরে অসুস্থ হতে থাকেন প্রিয়দর্শীনি। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, অস্ট্রেলিয়ার প্রশাসনের এহেন কর্মকাণ্ডই প্রিয়দর্শীনিকে তিলে তিলে মৃত্যুর মুখে ঠেলেছে। প্রসঙ্গত, সন্তাের হেফাজত নিয়ে নরওয়ের সঙ্গে সাগরিকা চক্রবর্তীর লড়াইতে পুরো দমে লড়েছিলেন সাগরিকা চক্রবর্তী। তবে, প্রিয়দর্শীনির ক্ষেত্রে লড়াইয়ের মাঝপথেই থেমে যান এই প্রবাসী ভারতীয় মা। কর্ণাটকের প্রিয়দর্শীনি তাঁর মৃত্যুর আগে একটি সুইসাইড নোট রেখে গিয়েছেন। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘আমাদের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে। আমি আমার সন্তান এবং স্বামী লিঙ্গরাজের বেঁচে থাকার জন্য আমার জীবন শেষ করতে বাধ্য হচ্ছি। আমি আমার পরিবারের ভালোর জন্য আমার মৃত্যু মেনে নিচ্ছি।’