ইজরায়েলের সাইবার সুরক্ষা সংস্থা এনএসও গ্রুপ বহু সরকারি মক্কেলকে ব্লক করল। বিশ্ব জুড়ে পেগাসাসের অপব্যবহার করে আড়ি পাতার অভিযোগ তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। এই আবহে এনএসও-র অফিসে ইজরায়েলি গোয়েন্দারা তল্লাশি চালিয়েছে বলেও খবর প্রকাশিত হয়। এই পরিস্থিতিতে এবার আমেরিকার জাতীয় পাবলিক রেডিও (এনপিআর)-এ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এনএসও কর্মী জানিয়েছেন যে বহু সরকারকে পেগাসাস ব্যবহার থেকে বিরত রাখতে তাদের আপাতত এনএসও ব্লক করেছে। যদিও কোন দেশের সরকারকে ব্লক করা হয়েছে, তা জানাননি সেই কর্মী।
আন্তর্জাতিকস্তরে একাধিক সংবাদমাধ্যম পেগাসাস নিয়ে তদন্ত করে। তা থেকে জানা গিয়েছে যে ভারতের অন্তত ১৪২ জন নাগরিকের ফোনে আড়ি পাতা হয়ে থাকতে পারে পেগাসাসের অপব্যবহার করে। সেই তালিকায় বিরোধী দলের রাজনীতিবিদ থেকে ৪০-এর বেশি সাংবাদিকও রয়েছেন। তাছাড়া চিকিৎসক, উকিল, সমাজকর্মী, শিল্পপতীদের ফোনে আড়ি পাতা হয়ে থাকতে পারে বলে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে।
তাছাড়া পেগাসাসের সম্ভাব্য তালিকায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ফ্রান্সের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এডোয়ার্ড ফিলিপ্পে-সহ দেশের বর্তমান ১৪ জন মন্ত্রী, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা-র নামও সামনে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে প্যারিসের প্রসিকিউটর’স অফিসের তরফে এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পেগাসাস কাণ্ডে ইতিমধ্যেই স্পাইওয়্যারের শিকার ব্যক্তিদের অনেকেরই ফোনের ফরেন্সিক তদন্ত করানো হয়েছে।
এদিকে পেগাসাস কাণ্ডে স্বতন্ত্র তদন্তের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন ভারতের দুই প্রবীণ সাংবাদিক। তাঁদের দাবি, আদালতের কোনও বর্তমান বা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে দিয়ে এই তদন্ত করানো হোক। মামলাকারীদের আবেদন, আদালত কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়ে জানাতে বলুক, সরকার বা সরকারি কোনও সংস্থার কাছে পেগাসাসের লাইসেন্স রয়েছে কি না। থাকলে সেই লাইসেন্স ব্যবহার করে কোনও ভারতীয় নাগরিকের উপর নজরদারি চালানো হয়েছে কিনা।