পাকিস্তানের পরমাণু বোমার জনক হিসেবে পরিচিত বিজ্ঞানী ডঃ আবদুল কাদির খান মারা গেলেন আজ সকালে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে এদিন তাঁকে ইসলামাবাদের এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই সকাল ৭টা নাগাদ তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
প্রসঙ্গত, অগস্টে করোনা আক্রান্ত হন আবদুল কাদির। এরপর তাঁকে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের খান রিসার্চ ল্যাবরোটরিজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে রাওয়ালপিন্ডির সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আবদুল কাদির খানের মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পারভেজ খাত্তাক। তাঁর মৃত্যুকে পাকিস্তানের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বলে অভিহিত করেন তিনি। প্রসঙ্গত, ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভোপালে ১৯৩৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন আবদুল কাদির। পরে দেশভআগের সময় ১৯৪৭ সালে পরিবারের সঙ্গে তিনি পাকিস্তানে চলে যান।
করাচি থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করার পর পশ্চিম বার্লিন এবং নেদারল্যান্ডসেও পড়াশোনা করেন। পরে বেলজিয়াম থেকে তিনি ডক্টোরেট উপাধি লাভ করেন। আবদুল কাদির ইউরেনিয়াম সেন্ট্রিফিগের মাধ্যমে পরমাণু অস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রে বড় অবদান রেখেছিলেন পাকিস্তানের জন্য। পরে অবশ্য তিনি ইরান, উত্তর কোরিয়া এবং লিবিয়াকে পরমাণু অস্ত্রের ফর্মুলা বিক্রি করে গৃহবন্দি হয়েছিলেন। ২০০৪ সালে তাঁকে গৃহবন্দি করা হয়েছিল। ২০০৯ সালে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তাঁর অনেক সঙ্গীকে জার্মানি, সুইত্জারল্যান্ড এবং দক্ষইণ আফ্রিকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।