করোনা পরিস্থিতিতে ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কঙ্কালসার চেহারা প্রকাশ্যে এসেছে। পরিস্থিতি এতটাই বাজে যে তা সামাল দিতে গিয়ে নাজেহাল হচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এই আবহে কতক্ষণ আর ধৈর্য ধরে রাখা যায়? এই পরিস্থিতিতে কর্মরত অবস্থাতেই হাতাহাতি করেন এক নার্স ও এক চিকিত্সক।
জানা গিয়েছে, রামপুর জেলা হাসপাতালে এক কোভিড রোগীর মৃত্যুর পর ডেথ সার্টিফিকেট লিখে দেওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। সেই মুহূর্তে ডাক্তারকে থাপ্পড় মেরে দেন নার্স। ডাক্তারও নার্সকে ঘুষি মেরে দেন। ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।
ঘটনার প্রেক্ষিতে জেলাশাসক রামজি মিশ্র বলেন, 'আমি তাদের দু'জনের সঙ্গেই কথা বলেছি। তাঁরা বলেছেন যে তাঁরা ওপর দিয়ে খুব কাজের চাপ যাচ্ছে। তবুও, আমরা ঘটনার তদন্ত করব এবং দুজনের সঙ্গেই পুনরায় কথা বলা হবে।'
এরই মাঝে ১ মে থেকে আরও চাপ বাড়তে চলেছে চিকিত্সক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর। কারণ ১ মে থেকে শুরু হচ্ছে তৃতীয় পর্যায়ের করোনা টিকাকরণ। উলেখ্য, গত সোমবারই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, টিকাকরণের তৃতীয় দফায় শুধুমাত্র ৪৫ বছরের বেশি বয়সিরাই নন, টিকা নিতে পারবেন ১৮ বছরের বেশি বয়সিরাও। সেই প্রক্রিয়া শুরু হবে ১ মে থেকে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে থেকেই ভারতে টিকাকরণের কর্মসূচি শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে কেবলমাত্র করোনা যোদ্ধাদেরই এই টিকা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে টিকাকরণের আওতায় আনা হয় প্রবীণ নাগরিক এবং ৪৫ বছরের বেশি বয়সিদেরও ।
ইতিমধ্যেই দেশের নানা প্রান্তে অল্প বয়সিদের মধ্যেও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্য়ুর ঘটনা ঘটতে থাকে। তার জেরেই প্রত্যেক নাগরিককে টিকাকরণের দাবি ওঠে। সেই প্রেক্ষিতেই এবার ১৮ বছরের বেশি বয়সিদেরও টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত নাবালকদের টিকাকরণের আওতার বাইরেই রাখা হয়েছে।