দেবব্রত মোহান্তি
ওড়িশায় এক নার্সিং হোমেকে ১০ লাখ টাকার জরিমানা ধার্য করেছে জগতসিংপুর জেলা আদালত। সেখানে এক বিশেষভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী সন্তানের জন্মকে কেন্দ্র করে গোটা ঘটনার সূত্রপাত। আদালত তার নির্দেশে সাফ প্রশ্ন তুলেছে যে, কেন গর্ভাবস্থায় থাকা সন্তানের শারীরিক ব্যতিক্রমগুলি আলট্রাসাউন্ড রিপোর্টে তুলে ধরা হয়নি, তা নিয়ে। যা করলে সম্ভবত ওই পরিবার আগেই সচেতন হতে পারত।
ওই সন্তান গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন তার শরীরের ব্যতিক্রমী দিকগুলোর ছবি কেন সঠিকভাবে নার্সিং হোম পেশ করতে পারেনি,তা নিয়ে ছিল প্রশ্ন। উল্লেখ্য, ওই সন্তানের ডান হাতের তালু গড়ে ওঠেনি। গড়ে ওঠেনি বাং পায়ের একাংশ। ওড়িশার জগতসিংহপুরের তিরতোল পুলিশ স্টেশনের অন্তর্গত জয়পুর গ্রাম। সেখানে মনোরঞ্জন চুলি ও তাঁর স্ত্রী বন্দনা দাসের সন্তান এই ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে। গর্ভাবস্থায় বন্দনা ওড়িশার ডঃ প্রতাপ কেশরী দাসের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। সেখানে রাহামা এলাকার এক নার্সিংহোমে তাঁর ৩ বার আলট্রাসাউন্ড টেস্ট হয়। তখন বন্দনাকে শিশুকে নিয়ে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল, তাতে গর্ভস্থ শিশুর অস্বাভাবিক দিকগুলি তুলে ধরে হয়নি। নার্সিং হোমের এই ত্রুটির অভিযোগে বন্দনারা কোর্টের দ্বারস্থ হন।
জেল থেকে মুক্তির ১ বছর পর 'স্যামসং'র চেয়ারম্যান পদে জে ওয়াই লি
গত বছর ১১ সেপ্টেম্বর এই দম্পতির প্রথম সন্তান জন্মায়। যেখানে দেখা যায় তার একটি হাত ও একটি পায়ের সম্পূর্ণ গঠন হয়নি। মনোরঞ্জন বলছেন, নারীরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ার পর তিনি মুখ্য জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন। তিনিই তখন মনোরঞ্জনদের জানান যে, এই অস্বাভাবিকতা ভ্রূণ কম দিনের থাকতেই ধরা যেতে পারত। এই বার্তা পেয়েই তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়। জানা যায় লেভেল টু স্ক্যানে শিশুর বিভিন্ন ধরনের অস্বাভাবিকতা থাকলে তাকে ধরা সম্ভব হয়। তবে মনোরঞ্জনদের সঠিক রিপোর্ট আলট্রা সাউন্ড থেকে দেওয়া হয়নি, বলে জানা যায়। তারপরই কোর্টের দ্বারস্থ হলে বিচারে নার্সিং হোমের জরিমানা হয়।