বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে। বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান এই ঘোষণা করেছেন। নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুসকে মুখ্য উপদেষ্টা করে এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান করা হবে। ১৫ সদস্যবিশিষ্ট উপদেষ্টা কাউন্সিল করা হবে।
কিন্তু এবার প্রশ্ন সেনার হাতে ক্ষমতা যাওয়ার পরেও এখনও পুরোপুরি শান্ত হয়নি বাংলাদেশ। আওয়ামি লীগের নেতা কর্মীদের বাড়িতেও হামলা চলছে বলে খবর। সেক্ষেত্রে কেন সেটা থামাতে পারছে না সেখানকার সেনা? সেই সঙ্গেই বাংলাদেশে থাকা সংখ্যালঘু হিন্দুদের সুরক্ষা নিয়ে অবশ্য কিছু বলা হচ্ছে না।
একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে যে আগামীকাল( বৃহস্পতিবার) দুপুরে দেশে ফিরতে পারেন মহম্মদ ইউনুস। বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, ডঃ ইউনুস কাল দেশে আসবেন। আমি তাঁকে বিমানবন্দরে রিসিভ করতে যাব। আশা করি আগামীকাল( ৮ অগস্ট) রাত ৮টায় অন্তর্বর্তী সরকারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, পুলিশ বাহিনী কাজে না থাকায় আইনশৃঙ্খলা সর্বত্র সেনার পক্ষে সামলানো কঠিন। পুলিশ সক্রিয় হলে সবকিছু স্বাভাবিক হবে বলে তাঁর আশা।
সেখানকার সেনা প্রধান জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ব্যাপারে রাষ্ট্রপতি ছাড়াও রাজনৈতিক দল ও ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সবার সম্মতিক্রমে ডঃ ইউনুসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, ডঃ ইউনুস আগামীকাল দেশে ফিরবেন। আমি তাঁকে বিমানবন্দরে রিসিভ করব। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, ডঃ ইউনুসের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি আমাদের সুন্দর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে যাবেন। ]
কালই বিদেশ থেকে দেশে ফিরছেন ইউনুস। তার অপেক্ষায় বাংলাদেশ। কিন্তু তার মধ্য়ে যেভাবে নতুন করে অশান্ত হচ্ছে বাংলাদেশ তা নিঃসন্দেহে অনেকের কাছে উদ্বেগের। এমনকী জেল ভেঙে বন্দি পালানোর ঘটনার খবরও সামনে আসছে।
দেশে ফেরার আগে মহম্মদ ইউনুস একটা বার্তা দিয়েছেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি সাহসী পড়ুয়াদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। যারা আমাদের দ্বিতীয় বিজয় দিবসকে সম্ভব করলেন। জনতা পুরোপুরি সমর্থন করেছিলেন। এই নতুন করে বিজয়ের মাধ্য়মে যাতে সবথেকে ভালোটা হয় সেটার জন্য সকলকে অনুরোধ করছি। আমাদের ভুলের জন্য কেউ যেন বিপথে না যান সেটা দেখতে হবে। ’ ‘সকলের কাছে অনুরোধ করছি যে শান্ত থাকুন। যে কোনও ধরনের হিংসা থেকে বিরত থাকুন। সমস্ত পড়ুয়া, সমস্ত রাজনৈতিক দলের সদস্য, অরাজনৈতিক দলকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করছি। এটা একটা সুন্দর দেশ, একাধিক সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা অবশ্য সুরক্ষা দেব, এই দেশকে আরও সুন্দর করে গড়ে তুলব। আমাদের জন্য আর আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য এই দেশকে সুন্দর করে গড়ে তুলব। ’