দিল্লির সদর দফতরে বক্তব্য রাখলেন নরেন্দ্র মোদী। ২৬ বছর পরে দিল্লিতে ফুটেছে বক্তব্য। তারপরই সদর দফতরে মোদীর বক্তব্য।
একেবারে ভিড়ে ঠাসা সভাস্থল। চারদিকে মোদী মোদী ডাক। মঞ্চে নরেন্দ্র মোদী। সেখান থেকে জনতার দিকে হাত নাড়লেন মোদী। বক্তব্য শুরু হয়। আপকে -কংগ্রেসকে নিশানা করে একের পর এক আক্রমণ। আগামী দিনে দিল্লিকে ঘিরে তাঁর পরিকল্পনার কথা বলছেন।
তবে এতসব কিছুর মধ্য়েও দর্শক-শ্রোতাদের প্রতি নজর মোদীর। কোথাও এতটুকু বিশৃঙ্খলা হতেই তিনি জানিয়ে দেন ফটো, ভিডিয়ো উঠেছে। আপনারা বসে পড়ুন। আবার বক্তব্য শুরু হয়।
আচমকাই বক্তব্য থামিয়ে দেন মোদী। দর্শক আসনের দিকে মোদীর চোখ। তিনি বলেন, এই কার্যকর্তার মনে হচ্ছে শরীর ঠিক নেই। জল খেতে দিন। ব্যবস্থা করুন।
মোদীর এই কথা শুনে চারদিক থেকে ওঠে মোদী মোদী ধ্বনি। অনেকের মনে ছুঁয়ে যায় মোদীর এই মানবিক দিকটি।
কার্যত কার্যকর্তা যে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তার প্রতিও নজর দিলেন মোদী। বক্তব্য থামিয়ে তাঁর প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশ দেন মোদী।
যমুনা মাইয়া কি! বলে বক্তব্য শুরু করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপর দিল্লি ভোটে বিরাট জয় নিয়ে একের পর এক বক্তব্য হাজির করলেন মোদী। তিনি বলেন, ডবল ইঞ্জিন সরকার দিল্লির ঋণ শোধ করবে। দিল্লিতে বিকাশের জয়। দিল্লির জনতাই দিল্লির আসল মালিক। দিল্লিতে বিজেপির সুশাসন দেখবে সাধারণ মানুষ। মধ্যবিত্তের উন্নয়নই বিজেপির লক্ষ্য। আধুনিক শহর হিসাবে গড়ে উঠবে দিল্লি। তিনি বলেন, অহঙ্কার এত যে দুনিয়া যখন করোনায় কষ্ট পাচ্ছে তখন এই আপ নিজেদের সুবিধা দেখছিল। আপের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হন মোদী। তিনি বলেন, যত লুঠেছে সব ফেরত দিতে হবে। এটাও মোদীর গ্যারান্টি।
তিনি বলেন ফের জনতা কংগ্রেসকে কড়া সতর্ক করেছে। দিল্লির ভোটে কংগ্রেস জিরোর ডবল হ্যাটট্রিক পেয়েছে। দেশের রাজনীতিতে দেশের সবথেকে পুরনো পার্টির করুণ পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন মোদী। …আগের বাইরে আমি বলেছিলাম এই কংগ্রেস নিজেও ডোবে অপরকেও নিয়ে ডোবে। একের পর এক সহযোগীকে খতম করছে। এর কায়দাও অবাক করার মতো। সহযোগীদের অ্য়াজেন্ডা ইস্যুও চুরি করে। ওদের ভোট ব্যাঙ্কেও থাবা বসায়।
মোদী বলেন, বিকশিত ভারতের নতুন শক্তির প্রয়োজন। ভালো যুবক যুবতীরা রাজনীতিতে না এলে, এমন লোক রাজনীতিকে কবজা করে ফেলবে যে তাদের রাজনীতিতে না আসাই ভালো।