বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Sixth Ocean: ছয় নম্বর মহাসাগর! দিব্যি রয়েছে পৃথিবীতেই, এত দিনেও ধরা পড়েনি মানুষের চোখে

Sixth Ocean: ছয় নম্বর মহাসাগর! দিব্যি রয়েছে পৃথিবীতেই, এত দিনেও ধরা পড়েনি মানুষের চোখে

আরও একটা মহাসাগর।

The sixth ocean has just been discovered: একটা আস্ত মহাসাগর। লুকিয়ে ছিল এই পৃথিবীতেই। কীভাবে পাওয়া গেল এটি?

এই পৃথিবীতেই রয়ে গিয়েছে আরও একটি মহাসাগর। মানে ষষ্ঠ মহাসাগর। তেমনই দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।

হালে জার্মানি, ইতালি এবং আমেরিকার কয়েক জন বিজ্ঞানী মিলে সন্ধান পেয়েছেন এই মহাসাগরের। তাঁদের গবেষণাপত্রটি ছাপা হয়েছে ‘নেচার’ পত্রিকায়। সেখানেই দাবি করা হয়েছে, এই পৃথিবীতেই এত বছর ধরে রয়েছে ছয় নম্বর একটি মহাসাগর। আর সেটি মানুষের নজরেই আসেনি।

এত দিন ভূগোল বইতে পড়ানো হয়ে এসেছে পৃথিবীতে মহাসাগরের সংখ্যা পাঁচ। প্রশান্ত মহাসাগর (PacificOcean), আটলান্টিক মহাসাগর (AtlanticOcean), ভারত মহাসাগর (IndianOcean) উত্তর (ArcticOcean) এবং দক্ষিণ মহাসাগর (Southern Ocean)। কিন্তু সেই ধারণাই এবার ভেঙে যতে চলেছে।

কোথায় রয়েছে এই মহাসাগর?

পৃথিবীর একেবারে উপরের আবরণ (mantle) এবং কেন্দ্রের মধ্যবর্তী একটি স্তরের মধ্যে রয়েছে এই মহাসাগর। ভূতল থেকে ৬৬০ কিলোমিটার গভীর থেকে ৪১০ কিলোমিটার গভীরতার মধ্যে রয়েছে এই মহাসাগর। বাকি পাঁচটি মহাসাগর যেখানে উপরের আবরণের মধ্যে রয়েছে, সেখানে এই মহাসাগর রয়েছে তার নীচে। আর সেই কারণেই এটির অস্তিত্ব এত দিন টের পাওয়া যায়নি। তেমনই বলেছেন বিজ্ঞানীরা।

উপরের স্তর এবং কেন্দ্রের মাঝে যে বিরাট অংশ রয়েছে (কমলা রং দিয়ে বোঝানো হয়েছে), সেখানেই অবস্থিত এই ৬ নম্বর মহাসাগর
উপরের স্তর এবং কেন্দ্রের মাঝে যে বিরাট অংশ রয়েছে (কমলা রং দিয়ে বোঝানো হয়েছে), সেখানেই অবস্থিত এই ৬ নম্বর মহাসাগর

কী অবস্থায় রয়েছে এই মহাসাগর?

বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, এই স্তরে পাথরের মাঝে আটকে আছে জল। কিন্তু সব মিলিয়ে এতটাই জল রয়েছে, যা যে কোনও মহাসাগরের যে কম নয়। তাই এটিকে ষষ্ঠ মহাসাগর হিসাবে চিহ্নিত করাই উচিত বলে মনে করছেন তাঁরা।

কীভাবে এই মহাসাগরের সন্ধান পাওয়া গেল?

হালে বৎসোয়ানায় একটি বিরল গোত্রের হিরের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এই হিরে নিয়ে পরীক্ষা করতে গিয়ে অদ্ভুত তথ্য পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা আবিষ্কার করেছেন, এই হিরে প্রায় ৬১০ কিলোমিটার গভীর থেকে উঠে এসেছে। ১.৫ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের এই হিরে সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের মত, মারাত্মক চাপের কারণে এই হিরে সৃষ্টি। এবং এই হিরের মধ্যে বেশির ভাগটাই জল। আর সেখান থেকে সন্ধান চালাতে চালাতে এই মহাসাগরের অস্তিত্বের আন্দাজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

আগামী দিনে কি তাহলে বদলে যাবে ভূগোল বইয়ে মহাসাগরের ব্যাখ্যা?

সেরকম হলে অবাক হওয়ার কিছুই নেই। কারণ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই মহাসাগরে যে পরিমাণে জল থাকতে পারে, তা পৃথিবীর উপরিভাগে অবস্থিত যে কোনও মহাসাগরের চেয়ে বেশি। ফলে এটিতে মহাসাগর হিসাবে ভাবার যথেষ্ট পরিমাণে যুক্তি রয়েছে। এমনই দাবি তাঁদের।

বন্ধ করুন