ত্রিপুরায় পঞ্চায়েত ভোটে গেরুয়া ঝড়। ভোটগণার চকালালীনই রাজ্যজুড়ে বিপুল জয়ের পথে বিজেপি। এর মধ্যে দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে বিরোধীরা। বাকি জেলাগুলিতেও বিজেপির জয়জয়কার। সব মিলিয়ে ফের একবার পঞ্চায়েত ভোটে ত্রিপুরায় ব্যাপক সাফল্যের পথে ভারতীয় জনতা পার্টি।
আরও পড়ুন - নাইট ডিউটি করতে ভালো লাগত না, জানিয়েছিল ও, বললেন নিহত মহিলা চিকিৎসকের প্রেমিক
পড়তে থাকুন - 'দেশটা কারও বাপের না', চতুর্থ দিন রাস্তা 'দখল', বাংলাদেশে গর্জন বাড়ছে হিন্দুদের
গত ৮ অগাস্ট ত্রিপুরায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের ভোটগ্রহণ হয়। ভোট পড়েছিল প্রায় ৮০ শতাংশ। সোমবার তার ভোটগণনা ছিল। সবার প্রথমে শেষ হয় দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার ভোটগণনা। সেখানে ১৭টি জেলা পরিষদ আসনের সবকটিতে জিতেছে বিজেপি। সমস্ত পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত তাদের দখলে। শুধুমাত্র ডুকলি ব্লকে একটি আসনে ত্রিপুরা মোথা পার্টির এক প্রার্থী জিতেছেন।
নির্বাচনী আধিকারিক জানিয়েছেন, উনাকোটি ও উত্তর ত্রিপুরা জেলাতেও গণনা চলছে। আমবাসা জেলায় কয়েক জায়গায় সিপিআইএম প্রার্থী জিতেছেন। তবে বিজেপি প্রার্থীদের জয়ের ব্যবধান বিপুল।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের জয়ের ব্যাপারে প্রত্যয়ী। তিনি জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন হলেই রাজ্যে ১০ হাজার সরকারি শূন্যপদে নিয়োগ হবে।
আরও পড়ুন - ৭ চিকিৎসককে জেরা, পরীক্ষায় গেল ধৃতের DNA নমুনা, আজ তলব আরজি করের সহকারী সুপারকে
বলে রাখি, ত্রিপুরায় গ্রাম পঞ্চায়েতের মাত্র ২৯ শতাংশ আসনে নির্বাচন হয়েছে। কারণ ৭১ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় জিতে গিয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা। পঞ্চায়েত সমিতির ৫৮ শতাংশ আসন ও জেলা পরিষদের ১৭ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে শাসকদল। যা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা।
বিজেপির দাবি, বিরোধীদের কোনও সংগঠন না থাকায় প্রার্থী খুঁজে পায়নি তারা। পালটা বিজেপির বিরুদ্ধে হুমকি ও সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে বিরোধী শিবির।