মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল ওড়িশায়। সহকর্মীর একটি অনুষ্ঠানে ভগবান জগন্নাথের ভজন গাইতে গিয়ে আচমকা মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন অতিরিক্ত জেলা শাসক। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার পারলাখেমুন্ডিতে একটি অনুষ্ঠানে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান গজপতির অতিরিক্ত জেলা শাসক (রাজস্ব) বীরেন্দ্র কুমার দাস।এমন ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন মাঝি এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক।
আরও পড়ুন: ‘BJD-র আমলে আমাকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল’, গুরুতর অভিযোগ ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর
জানা গিয়েছে, পারলাখেমুন্ডির ব্রিন্দাবন প্রাসাদে এক জেলা আধিকারিকের অনুষ্ঠানে তিনি ভজন গাইছিলেন। মঞ্চে ভগবান জগন্নাথকে উৎসর্গ করে একটি ওড়িয়া ভজন গাইছিলেন। তখনই তিনি আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মঞ্চেই পড়ে যান। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় এমকেসিজি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে অতিরিক্ত জেলা শাসকের বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। তাঁর স্ত্রী এবং কন্যা রয়েছে।
ঘটনায় শোক প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি একজন নিষ্ঠাবান এবং দায়িত্বশীল আধিকারিক ছিলেন। জনগণের স্বার্থে কাজ করতেন। তাঁর প্রশাসনিক দক্ষতার জন্য তিনি প্রশংসিত হয়েছিলেন। রাজ্য একজন যোগ্য, অভিজ্ঞ প্রশাসনিক আধিকারিককে হারিয়েছে।’ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবীন বলেন, ‘বীরেন্দ্র কুমার দাসের আকস্মিক মৃত্যুর কথা শুনে আমি দুঃখিত। তিনি একজন কঠোর পরিশ্রমী অফিসার ছিলেন এবং জনগণের সমস্যা সমাধানে আন্তরিক ছিলেন। আমি তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।’ বীরেন্দ্র দাসের মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, গঞ্জাম এবং গজপতি জেলার বেশ কয়েকজন আধিকারিক। যার মধ্যে রয়েছেন গজপতির জেলা শাসক স্মৃতি রঞ্জন প্রধান।
উল্লেখ্য, দুই বছর আগে গজপতিতে বদলি করা হয়েছিল বীরেন্দ্রকে। এডিএম (রাজস্ব) হিসাবে কাজের মেয়াদকালে, গজপতি জেলা ডিজিটাল ইন্ডিয়া ভূমি রেকর্ড আধুনিকীকরণ কর্মসূচিতে অবদানের জন্য কেন্দ্রের ভূমি সম্মান পুরস্কার জিতেছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন বীরেন্দ্র। গজপতিতে স্থানান্তরিত হওয়ার আগে বীরেন্দ্র কান্ধমালে আদিবাসী উন্নয়ন সংস্থা, ফুলবনির প্রকল্প প্রশাসক হিসাবেও কাজ করেছিলেন। তিনি ওড়িয়া এবং ইংরেজি কবিতার বইও লিখেছেন।