দীর্ঘ ২৪ বছরের নবীন পট্টনায়কের শাসনের অবসান ঘটিয়ে ওড়িশায় এই প্রথমবার সরকার গঠন করেছে বিজেপি। দলের দীর্ঘদিনের নেতা মোহন চরণ মাঝিকে করা হয়েছে রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী। এবার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন মোহন চরণ মাঝি। তিনি অভিযোগ করেছেন, বিজেডির সরকারে থাকার সময় তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে কোনওভাবে সে যাত্রায় রক্ষা পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: মোদীর উপস্থিতিতে ওড়িশার মুখ্য়মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন মোহন চরণ মাঝি, মঞ্চে নবীন
সোমবার কেওনঝারের ঝুমপুরায় একটি জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে আগের বিজেডি সরকারের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন মাঝি। তিনি বলেন, ‘কেওনঝারের মান্ডুয়ায় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে ঈশ্বরের আশীর্বাদ এবং মানুষের ভালোবাসায় আমি রক্ষা পেয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘মা তারিণী, মা দুর্গা, ভগবান বলদেব এবং ভগবান জগন্নাথ আমার সঙ্গে থাকলে আমার ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’ উল্লেখ্য, বর্তমানে দুদিনের কেওনঝার সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে একটি সমাবেশে যোগ দেওয়ার আগে একটি রোড করেন। তাঁকে সংবর্ধনা জানানো হয়। এরপর মা তারিণী, বলদেব জেও এবং ভগবান জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
নির্বাচনী ইস্তেহারে বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল খারিফ মরশুমে এমএসপি হিসেবে প্রতি কুইন্টাল ধানের জন্য ৩,১০০ টাকা প্রদান করা হবে কৃষকদের। সেবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিজেপি সরকার তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় বদ্ধপরিকর। তিনি আরও বলেন, ‘সুভদ্র যোজনার অধীনে প্রত্যেকটি যোগ্য মহিলাকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।’ একইসঙ্গে মাঝি জোর দিয়েছেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি দেখা করতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। তিনি বলেন, ‘আমি জনগণের মুখ্যমন্ত্রী। কারও সঙ্গে দেখা করতে আমার কোনও সমস্যা নেই। প্রয়োজনে ভুবনেশ্বরে আসুন। আমি সরাসরি মানুষের সঙ্গে দেখা করব।’ এছাড়াও কেওনঝার প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ বলে উল্লেখ করে সেখানে উন্নয়ন করা হবে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল সোনার কেওনঝার গড়ে তোলা। যদি আমাদের তা করার দৃঢ় সংকল্প থাকে তাহলে আমরা সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারব।
উল্লেখ্য, চব্বিশের লোকসভায় ২১টি আসনের মধ্যে একটিও জিততে পারেনি বিজেডি। বিজেপি পেয়েছে ২০টি আসন। ১টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। বিধানসভায় ১৪৭টি আসন বিশিষ্ট ওড়িশা বিধানসভাতেও ৭৮টি আসন জিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে বিজেপি। ৫১টি আসন পেয়েছে বিজেডি। অন্যদিকে, কংগ্রেস পেয়েছে ১৪টি। বাকিরা ৪টি। আর তারপরেই রাজ্যটিতে সরকার গঠন করে বিজেপি।