পড়শি রাজ্য ওড়িশায় কলেরার প্রকোপ বেড়ে গিয়েছে বিগত কয়েকদিনে। কলেরার কারণে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালে ভরতি শতাধিক। তবে রাজ্যের নবীন পট্টনায়েকের সরকার এই সব তথ্য গোপন করছে বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করল বিরোধী দল বিজেপি। সরকারি ভাবে এখনও সেরাজ্যে কলেরায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। হাসপাতালে ভরতি ৩০০ জন। তবে বিজেপির অভিযোগ, আরও বেশি সংখ্যক মানুষ কলেরায় প্রাণ হারিয়েছেন। তবে বিজেডি সরকার সেই তথ্য লুকিয়ে রাখছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, রায়গড়ে এখনও পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে কলেরায়। কোরাপুট, নুয়াপাদা এবং নবরঙ্গপুরে একজন করে মারা গিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। এই আবহে মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় বিজেপির চিফ হুইপ মোহন মাঁঝি অভিযোগ করেন রায়গড় জেলার কাশীপুর ব্লকেই ১৪ জন মারা গিয়েছেন কলেরায়। তবে সরকার সঠিক তথ্য প্রকাশ করছে না জনসমক্ষে। তিনি বলেন, ‘সরকারি তথ্য অনুযায়ী কলেরায় মাত্র ৯ জন মারা গিয়েছেন। বাকি পাঁচজনের মৃত্যু স্বাভাবিক কারণে হয়েছে।’ উল্লেখ্য, দুই দিন আগেই মোহনের নেতৃত্বে বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল কাশীপুর ব্লকে গিয়েছিলেন।
বিজেপি নেতা বিধানসভায় বলেন, ‘প্রতি বছর বর্ষাকালে কাশীপুরে কলেরার প্রাদুর্ভাব ঘটলেও সরকার ধীরগতিতে পদক্ষেপ করে। জেলায় কলেরা ও ডায়রিয়া ছড়ানোর প্রধান কারণ দূষিত জল পান করা। মানুষ তাঁদের দৈনন্দিন ব্যবহারের জলের জন্য পুকুর, কূপের উপর নির্ভরশীল। এটা প্রাদুর্ভাবের পিছনে একটি বড় কারণ। কাশীপুরে এই রোগের পুনরাবৃত্তি রোধ করতে সরকারের একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা উচিত।’ মোহনের অভিযোগ, সরকারের তথ্য থেকে কাশীপুরের বাস্তব পরিস্থিতি পুরোপুরি ভিন্ন। এদিকে কংগ্রেসের চিফ হুইপ তারাপ্রসাদ বহিনীপতি অভিযোগ করেছেন যে কোরাপুট জেলাতেও ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে এবং দশমন্তপুর ব্লকের কিছু লোকও জলবাহিত রোগে মারা গিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সরকারের উচিত প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূর্ণ দেওয়া।’