বুধবার ওড়িশার কালাহান্ডি ও কন্ধমল জেলা সীমান্তে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত তিন মহিলা-সহ চার মাওবাদী জঙ্গি।
জানা গিয়েছে, বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার কালাহান্ডি ও কন্ধমল জেলার সীমান্তে অভিযান চালায় মাওবাদী-দমন বাহিনী SOG এবং ডিস্ট্রিক্ট ভলান্টারি ফোর্স (DVF)। অভিযানে অংশগ্রহণ করে ওডিশা পুলিশ বাহিনীও।
ওড়িশা পুলিশের বিবৃতিতে জানা গিয়েছে, সকাল ১১টা নাগাদ কন্ধমল জেলার বেলঘর অঞ্চলে সিরকি গ্রামের কাছে নিরাপত্তাবাহিনীকে নিশানা করে গুলি চালায় আত্মগোপনকারী মাওবাদী জঙ্গিরা। জবাবে পালটা গুলি চালায় বাহিনী।
আধ ঘণ্টার গুলির লড়াইয়ে মারা যায় চার মাওবাদী জঙ্গি। গুলিতে জখম হয়েছেন এক SOG জওয়ান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তল্লাশি অভিযানে নামে SOG, DVF ও সিআরপিএফ-এর অতিরিক্ত বাহিনী। চার জঙ্গির দেহের সঙ্গে উদ্ধার হয় পাঁচটি গুলিভরা আগ্নেয়াস্ত্র। তবে নিহত মাওবাদীদের পদমর্যাদা সম্পর্কে এখন নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গত ২৩ জুলাই কন্ধমলেই মাওবাদী দমন বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছিল ২ জঙ্গি। তার আগে ৫ জুলাই এই জেলারই তুমুদিবান্ধা থানার অন্তর্গত সিরলা অভয়ারণ্যে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে মারা যায় দুই মহিলা-সহ পাঁচ মাওবাদী জঙ্গি। তাদের মধ্যে ছিল সিপিআই (মাওবাদী) দলের ওড়িশা রাজ্য কমিটির জঙ্গিনেতা কোসা সোদি, যার মাথার দাম ছিল ২০ লাখ টাকা।
কিছু দিন আগেই ওড়িশা পুলিশের ডিজি দাবি করেছিলেন, রাজ্যের মাওবাদী জঙ্গি পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। বহু সন্ত্রাসবাদী আত্মসমর্পণ করছে বলেও তিনি জানিয়েছিলেন। তার জেরে অঙ্গুল, বৌধ, সম্বলপুর, দেওগড় ও নয়াগড় জেলাকে মাওবাদী অধ্যুষিত তালিকা থেকে বাদ দিতে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছে ওড়িশা সরকার।