বন্যায় বিধ্বস্ত ৭ লাখ মানুষ। ওড়িশার উপকূলের একাধিক জেলা বন্যা বিপর্যস্ত। গোটা রাজ্যের মোট সাত জেলায় বন্যা। এমন এক অবস্থায় ওড়িশা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, বন্যা বধ্বস্ত এলাকায় বিনামূল্যে বিলি করা হবে স্যানিটারি প্যাড। পুরী, কটক, কেন্দাপাড়া, জগতসিংহপুর, নয়াগড়, বালাসোর, ভদ্রক, বৌধ, কেওনঝরের জেলা শাসকদের প্রতি নির্দেশে ওড়িশার স্পেশ্যাল রিলিফ কমিশনার প্রদীপ জেনা এই নির্দেশ দিয়েছেন।
সুবর্ণরেখা নদী ফুঁসে ওঠায় বালাসোর ও ময়ূরভঞ্জে প্রবল বন্যা দেখা দিয়েছে। সেখানের ৭ টি ব্লকে ১০০র বেশি গ্রাম বিপর্যস্ত। ঝাড়খণ্ডের গালুধি ব্যারাজে ৬ লাখ কিউসেক জল ছেড়ে দেওয়ায় ভেসে গিয়েছে সুবর্ণরেখার দুই তট। বালাসোরের রাজঘাটেও বিপর্যয়ের পরিমাণ বেড়েছে। বিপদসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে জল। পূর্বাভাস বলছে, জলের বিপদসীমা আগামী কালকের মধ্যে খানিকটা নামতে পারে। বলা হচ্ছে, সুবর্ণরেখায় যে জলস্ফীতি দেখা যাচ্ছে তা গত এক দশকে সবচেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর। তারই মধ্যে চলছে ত্রাণের কাজ। চলছে ত্রাণ কেন্দ্রে খাবারের আয়োজন। আর সুদিন ফেরার আশায় ওড়িশা। ঘরে ঢুকে, ছিটকিনি আটকে, জুতো দিয়ে স্বামীকে বেধড়ক মারধর অধ্যাপক-পত্নীর!
বালাসোরের চারটি ব্লক, বালিয়াপাল, জলেশ্বর, বাস্তা, বিপর্যস্ত। ময়ূরভঞ্জের রসগোবিন্দপুর, সরসকানা, বাদসাগহি ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে ঢুকে পড়েছে জল। বালিয়াপাল ব্লকে প্রায় ২৫টি গ্রামে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তারই মাঝে আলাদা করে স্যানিটারি ন্যাপকিনের প্রতি প্রশাসন গুরুত্ব দেওয়ায় বিপর্যস্ত গ্রামে মহিলাদের স্বাস্থ্যবিধি খানিকটা সুরক্ষিত রাখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।