চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড ইয়াস (Cyclone Yaas)। এই পরিস্থিতি ওড়িশার ছয় উপকূলবর্তী জেলা প্রশাসনকে সেরাজ্যের সরকার নির্দেশ দিল যাতে সেই এলাকার কাঁচা বাড়িতে থাকা সবাইকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। এই কাজটা যাতে কোভিড বিধি মেনে করা হয়, তার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। এদিকে এদিন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। ইতিমধ্যে ওড়িশা বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ৬৬টি দলকে তৈরি রাখা হয়েছে। এছাড়া দমকলের ১৭৭টি দল এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ২২টি দল তৈরি রয়েছে ওড়িশায়। তাছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের শেল্টারে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে সরকারের তরফে।
মৌসম ভবনের তরফে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, উত্তর আন্দামান সাগরের উপর নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ যা আগামী ২৪ মে সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে৷ সেটি উত্তর-পশ্চিম বরাবর উপকূলের দিকে এগিয়ে আসবে এবং ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে ২৬ মে সকালে আছড়ে পড়তে পারে৷ ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আন্দামান সহ উপকূলবর্তী রাজ্যের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি সঙ্গে ঝড় হওয়ায় সম্ভাবনা রয়েছে৷ যার ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে৷
এদিকে বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী রাজ্যগুলিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নিয়ে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক৷ সেই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মোকাবিলায় সবরকমের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে রাজ্যগুলিকে৷ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, তামিলনাড়ু ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিবদের এবং সেই সঙ্গে আন্দামান ও নিকোবর প্রশাসনকে এ নিয়ে চিঠি দিয়েছেন। আর করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে জনস্বাস্থ্যে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে৷ যেখানে জল ও বায়ুবাহিত জীবাণুর ফলে মানুষ অসুস্থ হতে পারেন৷ তাই রাজ্যগুলিকে তাদের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোকে আরও মজবুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে৷