ওড়িশার বালেশ্বরের একটি হাসপাতালে এক সাংবাদিককে চেন দিয়ে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঢেউ উঠেছে। এই ঘটনায় বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বালেশ্বরের পুলিশ সুপার সুধাংশু শেখর। ওই সাংবাদিকের নাম লোকনাথ দালেই। স্থানীয় থানার একজন পুলিশ ইন্সপেক্টর তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন বলে অভিযোগ।
জানা যাচ্ছে, লোকনাথ ওড়িয়া ডেইলি সংবাদ এবং টিভি চ্যানেল কনক নিউজের সাংবাদিক। এক হোমগার্ডকে নিগ্রহ করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁর অভিযোগ, স্থানীয় ওই পুলিশ ইন্সপেক্টরের বিরুদ্ধে ব্রাউন সুগার চোরাচালান রোধে ব্যর্থতা নিয়ে তিনি খবর করেছিলেন। এরপরেই গত সোমবার রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ওই থানার একজন হোম গার্ডের বাইক এসে তাঁর বাইকে ধাক্কা মারে। ঘটনায় হোমগার্ডের হেলমেট নিয়ে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন ওই সাংবাদিক। পরে গত বুধবার দুপুরে ওই ইন্সপেক্টর এবং আরও একজন পুলিশ তাঁর বাড়ি এসে তার মোবাইল কেড়ে নেন এবং জানান যে ওই হোম গার্ড তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছেন। তারপরেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ওই সাংবাদিক জানান, ‘গ্রেফতার করার পরেই আমি অচেতন হয়ে যায়। তারপর বৃহস্পতিবার সকালে জ্ঞান ফিরলে নিজেকে হাসপাতালে পায়ে চেন বাধা অবস্থায় দেখতে পায়।’ এই ঘটনায় তিনি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাবেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে, বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই স্থানীয় বিধায়ক সুকান্ত নায়েক পুলিশের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানও এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনিও পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।