‘দেবতাকে সন্তুষ্ট করতে’ ১২ বছরের বোনকে বলি দিল ওডিশার বোলাঙ্গির জেলার যুবক শুভবন রানা। পুলিশের জেরার মুখে অপরাধ কবুল করার পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েচে। পরে তার সাহায্যে জঙ্গলের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে কিশোরীর মুণ্ডহীন দেহ।
গত ২৪ ডিসেম্বর সকালে বোলাঙ্গিরের সালেবারাত গ্রামের কিশোরী জননী রানা দাদা শুভবনের সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে বের হয়েছিল। পাশের নুয়াপাড়া জেলার খড়িয়ার শহরের উদ্দেশে তারা রওনা হয়েছিল। কিন্তু তার পর থেকেই জননীর কোনও খোঁজ পাওয়া যায় না। কিশোরীর নামে সিন্ধেকালা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে তার পরিবার।
এ দিকে, গ্রামের বাসিন্দারা প্রথম থেকেই জননীর হারিয়ে যাওয়ার পিছনে শুভবনের হাত রয়েছে বলে দাবি করেন। জানা গিয়েছে, অতীতেও তার বিরুদ্ধে নরবলি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সুভবনকে গ্রেফতারের দাবিতে এর পর সিন্ধেকালা থানা ঘেরাও করেন গ্রামবাসীরা।
গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি মেনে শুভবনকে জেরা করতেই পুলিশের কাছে বোনকে বলি দেওয়ার কথা স্বীকার করে সে। জানায়, দেবী দুর্গাকে সন্তুষ্ট করতেই কিশোরী বোনকে সে বলি দিয়েছে।
বোলাঙ্গিরের পুলিশ সুপার মাদকর সন্দীপ সম্পত জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে বন্ধু কুঞ্জকে নিয়ে বন্ধুর নয় বছর বয়েসি ভাইঝিকেও বলি দিয়েছিল শুভবন। সেই অপরাধে জেলে গেলেও কিছু দিন আগে জামিনে মুক্তি পেয়েছিল সে।
পুলিশের কাছে বোন জননীকে বলি দেওয়ার কথা স্বীকার করার পরে জঙ্গল থেকে তার মুণ্ডহীন উদ্ধার করতে উদ্ধারকারীদের পথ দেখিয়ে সে নিয়ে যায়। মেয়েকে হত্যার কারণে ছেলে শুভবনের কঠিন শাস্তি দাবি করেছেন জননী-শুভবনের বাবা মুসুরু রানা।
উল্লেখ্য, ওডিশার কন্ধমল অঞ্চলের আদিম জনজাতিদের মধ্যে নরবলি প্রথা দীর্ঘ দিন ধরে জারি ছিল। ব্রিটিশ সরকার তা আইন প্রয়োগ করে বন্ধ করে দিলেও প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে তার পরেও এই রীতি বহু কাল চালু থাকে।