ফের নিগৃহীত চিকিত্সক। এবার ওড়িশার গঞ্জামে। লেবার রুমে প্রবেশ করতে চেয়ে বাধা পেয়ে একেবারে ডাক্তারের কানের লতি কামড়ে দিল এক ব্যক্তি। রবিবারের এই ঘটনার পর চাঞ্চল্য ছড়ায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
গঞ্জামের বেরহামপুরে তারিনি প্রসাদ মহাপাত্র লেবার রুমে গিয়ে নিজের স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল। তাকে বাধা দেয় ডাক্তাররা। রবিবার সকালেই হাসপাতালে ভর্তি হয় অভিযুক্তের বউ। লেবার রুমে অন্যরা থাকায়, সাময়িকভাবে তাকে ঢুকতে মানা করা হয়, সামাজিক দূরত্বের বিধি মান্য করার জন্য। কিন্তু তাও সেই ব্যক্তি জোর করে ঢুকে তাঁকে আক্রমণ করে বলে জানিয়েছেন স্মৃতি রঞ্জন পট্টনায়েক নামের এক চিকিত্সক।
তাতেও অবশ্য থেমে থাকেনি তারিনি। এরপর সোজা গিয়ে গায়েনোকলজিস্ট সাকিল খানের কানের লতি কামড়ে দেয় সে। তবে অভিযুক্তের দাবি, তার সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষী ও উপস্থিত ডাক্তাররা খারাপ ব্যবহার করেছিল। সেই কারণেই সে মেজাজ হারান।
অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও আইপিসি ও এনডেমিজ ডিজিজ অর্ডিনেন্সের বিভিন্ন ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জাতীয় সুরক্ষা আইনের ধারা মোতাবেকও যাতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করা যায়, তার জন্য প্রস্তাব পেশ করবে পুলিশ।
কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, কোনও অবস্থাতেই স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর আক্রমণ রেয়াত করা হবে না। তারপরেও চলছে হিংসার ঘটনা।