ওড়িশার ঝাড়সুগুদায় একাই ১৭ জনকে সংক্রামিত করলেন গুরগাঁও ফেরত মহিলা ‘করোনা সুপার স্প্রেডার’। ঘটনায় কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানাল উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসন।
ঝাড়সুগুদা জেলা প্রশানের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ২০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত ওই জেলায় মাত্র ২৫ জন কোভিড পজিটিভ রোগীর খবর পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু তার পরেই কোয়ারেন্টাইন বিধি অমান্য় করে ১৭ জনের মধ্যে জীবাণু ছড়ান এক পরিবারের তিন সদস্য।
জেলাশাসক সরোজ কুমার শ্যামল জানিয়েছেন, গত ১৪ জুন গুরগাঁও থেকে ফেরা এক মহিলা, তাঁর স্বামী ও ছেলে পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ ধরা পড়েন। ব্রজরাজনগর ওএমপি এলাকায় নিজের কাকার বাড়িতে বসবাসকারী মহিলা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ১৪ দিন আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার মাঝেই নিজের ছেলের জন্মদিনের পার্টি আয়োজন করেন ওই মহিলা। পার্টিতে প্রতিবেশীদের তিনি আমন্ত্রণ জানান। এর পরে তিনি একটি বিয়েবাড়িতেও আমন্ত্রিত হয়ে যান। তাঁর সংস্পর্শে এসে মোট ১৭ জন করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছেন।
ঘটনার জেরে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের ১৫ নম্বর ধারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৬,২৭১ ও ১৮৮ ধারায় মামলা করেছে জেলা প্রশান।
জেলাশাসকের অভিযোগ, ‘এই ঘটনার আগে আমাদের জেলা যথেষ্ট নিরাপদ ছিল। কিন্তু সতর্ক করা সত্ত্বেও হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার সময় নিয়ম মানছেন না অনেকে। তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, রবিবারই ৩০৪টি নতুন করোনা পজিটিভ কেসের খবর পাওয়া যায় ওড়িশায়। তার জেরে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫,১৬০ জনে।