সোহিনী গোস্বামী
প্রভাব খাটিয়ে পাথর খাদানের ইজারা নেওয়ার আবেদন করেছিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক আঙিনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। নির্বাচন কমিশন এনিয়ে চিঠি দিয়েছিল রাজ্যপালকে। আর সেই চিঠির বিষয়বস্তু জানতে চেয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দিলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।
এদিকে এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশন কী পদক্ষেপ নিয়েছে সেটা অবশ্য এখনও প্রকাশ্যে আসেননি। তবে সূত্রের খবর হেমন্ত সোরেনকে বিধায়কের পদ থেকে বরখাস্ত করার জন্য সুপারিশ করেছিল কমিশন। তবে এনিয়েই এবার আসল বিষয়টি জানতে চাইলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, প্রভাব খাটিয়ে নিজের নামে পাথর খাদান ইজারা নেওয়ার অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উঠেছিল। এনিয়ে বিরোধীরা বার বার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। তুমুল বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। তার মধ্যেই গত ২ সেপ্টেম্বর রাজ্যপাল দিল্লিতে যান। ৮ সেপ্টেম্বর তিনি দিল্লি থেকে ফিরে যান।
তবে দিল্লি যাওয়ার আগেই রাজ্যপাল জানিয়ে গিয়েছিলেন, তিনি গোটা বিষয়টি পরিষ্কার করে দেবেন বিধায়কদের কাছে। তবে গত ২৮ অগস্ট ইউপিএ বিধায়করা যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, রাজনৈতিক ঘোড়াকেনা বেচায় উৎসাহ দিচ্ছেন খোদ রাজ্যপাল। কারণ তিনি কমিশনের সিদ্ধান্তের বিষয়টি কিছুতেই জানাতে চাইছেন না। তবে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে তাঁর আস্থা প্রমাণ করেছেন। এবার রাজ্যপালের কাছে চিঠি দিয়ে জানতে চাইলেন কমিশন পদ খারিজ নিয়ে বাস্তবে কী বলেছে সেটা এবার জানানো হোক।