টানা ৬০ ঘণ্টা ধরে চলছে অভিযান, পীযূষের টাকা গুনতে গুনতে ক্লান্ত হলেও ঘুম নেই অফিসারদের চোখে
কানপুরে গুপ্তধনের সন্ধানে আসা জিএসটি-র ভিজিল্যান্স দল টানা ৬০ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালাচ্ছে। এই সময় দলের কর্মকর্তাদের চোখে কোনও ঘুম নেই। প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু খুঁজে পাওয়ার আশায় বিরতিহীন ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন আধিকারিকরা। এত সম্পত্তির মাঝএ কর্মকর্তারা চোখ ফেরানোর সময় পাচ্ছেন না। গভীর রাত পর্যন্ত পীযূষ জৈনের ঘর থেকে ভেসে আসছে টাকা গোনার মেশিনের আওয়াজ। প্রথম দিনে অভিযান দলে ছিলেন মাত্র ১২ জন কর্মকর্তা। এখন দলে আধিকারিকদের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।
উল্লেখ্য, সুগন্ধি ব্যবসায়ী পীযূষ জৈনের বাড়ি থেকে গুপ্তধন পাওয়ার প্রক্রিয়া রবিবারও অব্যাহত ছিল। কানপুরে ১৮৭ কোটি টাকা নগদ উদ্ধারের পর কনৌজ থেকে আরও ৫ কোটি টাকার নগদ, ১২৫ কেজি সোনা এবং কোটি কোটি টাকার নথি পাওয়া গিয়েছে। এখন পর্যন্ত, ডিজিজিআই অভিযানে প্রায় ১০০০ কোটি টাকার সম্পদ বের করা হয়েছে। কানপুরের পর ডিজিজিআই টিম কনৌজে পীযূষ জৈনের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে।
কনৌজে পীযূষের বাড়ির দেয়াল থেকে সোনার খসে পড়ছে আর মাটির তলা থেকে নগদ টাকার বান্ডিল বেরিয়ে আসছে। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ছিপ্পট্টিতে অবস্থিত তাঁর বাড়িতে ১২৫ কেজি সোনা পাওয়া গিয়েছে। ডিজিজিআই অফিসাররা ৫০টিরও বেশি ব্যাগে ৩৫০টি ফাইল এবং ২৭০০টি নথি ঢুকিয়ে তা বাজেয়াপ্ত করেছেন। পীযূষের বেডরুমের খাটের ভিতর থেকে নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রুমের খাটের নিচে লকারও পাওয়া গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ডিজিজিআই অফিসাররা কনৌজে ব্যবসায়ীর বাড়ির প্রাঙ্গণ থেকে ৫০০টি চাবি খুঁজে পেয়েছেন। তবে এত চাবির মধ্যে থেকে খুঁজে বের করে তালা খুলতে ভিজিল্যান্স টিমকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। পরে চার ঘণ্টা পরে তালা ভাঙতে এক ডজন কারিগরকে ডাকা হয়। মাটি খুড়েও তাড়া তাড়া নোটের বান্ডিল উদ্ধার হয়েছে। মাটি খুড়ে টাকা বের করতেও দিনমজুর ডাকা হয়েছিল।