গত পাঁচদিনে চতুর্থবার দেশে বেড়েছে পেট্রল-ডিজেলের দাম। উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের প্রাক্কালে টানা ১৩৭ দিন অপরিবর্তিত ছিল জ্বালানির দাম। তার আগে কেন্দ্রের তরফে কর ছাড়ও দেওয়া হয়েছিল। তবে এই সমেয় আন্তর্জাতিক বাজারে হু হু করে বেড়েছে তেলের দাম। বিশেষ করে ফেব্রুয়ারির শেষে রাশিয়া ইউক্রেনের উপর আক্রমণ করার পর অপরিশোধিত জ্বালানির দাম রকেট গতিতে ছুটতে শুরু করেছিল আন্তর্জাতিক বাজারে। তবে সেই সময়ও ভারতের তেলের দাম বাড়েনি। তবে এখন নির্বাচন শেষ আর প্রায় প্রতিদিন ধারাবাহিক ভাবে ৮০ পয়সা বা তের বেশি করে দাম বাড়ছে পেট্রলের। এই আবহে সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়করি এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, উভয়ই তেলের দাম বৃদ্ধির জন্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে দায়ী করেছেন।
সংসদে নির্মলা সীতারমন এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা কোনও বাড়তি বোঝা আনিনি। বিশ্বের পরিস্থিতি এরকম। যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি রয়েছে বিশ্বে। তেলের দামের সঙ্গে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই। যদি তেল সংস্থাগুলো মনে করে যে তারা বেশি দামে তেল আমদানি করছে তাহলে আমাদের সেই বোঝা বহন করতে হবে।’
এদিকে এই বিষয়ে নীতিন গড়করি বলেন, ‘দেশের ৮০ শতাংশ জ্বালানি তেল আমদানি করা হয় অন্য দেশ থেকে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার যুদ্ধের আবহে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম হু হু করে বাড়ছে। আমরা এই বিষয়ে কিছুই করতে পারব না।’
উল্লেখ্য, ১৩৭ দিন পর গত ২২ মার্চ প্রথমবার তেলের দাম বাড়ে দেশে। এরপর থেকে বিগত পাঁচদিনে চারবার জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। ২১ মার্চে যা দাম ছিল, তার থেকে ধাপে ধাপে ৩ টাকা ২০ পয়সা বেশি দামী হয়েছে পেট্রল। উল্লেখ্য, ২২ মার্চের আগে গত নভেম্বরে তেলের দাম শেষবার বেড়েছিল। সেই সময় আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ছিল ব্যারেল পিছু ৮২ টাকা। তবে মার্চের শুরুর দিকে সেই দাম ১১৭ ডলারে পৌঁছে গিয়েছিল। তবে তেল সংস্থাগুলি তখনও দেশের তেলের দাম বাড়ায়নি। তবে ফল প্রকাশের কয়েকদিন পর থেকেই এবার তেলের দাম বাড়তে শুরু করেছে।