আর পাঁচবারের মতো পেনশন ঢুকেছে কিনা, তা জানতে গিয়েছিলেন। সেখানে যা শুনলেন, তাতে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গেল। তাঁর অ্যাকাউন্টে নাকি ৫২ কোটি টাকা জমা পড়েছে। কীভাবে সেই টাকা এল, তা বুঝে উঠতে পারছেন না বিহারের মুজফ্ফরপুর জেলার এক বৃদ্ধ। তবে সেই টাকা এখনই নিতে চাননি তিনি। বরং সরকারের কাছে তাঁর আর্জি, সেই টাকা দিয়ে তাঁর নামে এমন কিছু করে দেওয়া হোক, যাতে তাঁর বাকি জীবনে কেটে যায়। ভবিষ্যতের চিন্তা না করতে হয়।
‘হিন্দুস্তান টাইমস’ গ্রুপের ‘লাইভ হিন্দুস্তান’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুজফ্ফরপুর জেলারক কটরা থানা এলাকার ওই বৃদ্ধ জানিয়েছেন যে কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট কিয়স্কে গিয়েছিলেন। সেখানে নিজের আধার কার্ডের নম্বর দেন। কিয়স্ক থেকে জানানো হয়, তাঁর অ্যাকাউন্টে ৫২ কোটি টাকার বেশি জমা পড়েছে। তা শুনে আকাশ থেকে পড়েন বৃদ্ধ। কীভাবে সেই টাকা জমা পড়েছে, তা ভেবে কূলকিনারাও পাচ্ছেন না তিনি। কে দিল, তাও বুঝে উঠতে পারছেন না।
তারইমধ্যে সেই বৃদ্ধের অ্যাকাউন্টে ৫২ কোটি টাকা জমা হওয়ার খবর এলাকায় চাউর হয়ে যায়। রাম বাহাদুর শাহ নামে ওই বৃদ্ধ জানান, অ্যাকাউন্টে ৫২ কোটি টাকা আছে শুনে হতভম্ব হয়ে যান। ‘আমি চাষবাস করে সংসার চালাই। সরকারের কাছে আর্জি, ওই টাকায় এমন কিছু কাজ করে দেওয়া হোক, যাতে আমার বাকি জীবন কেটে যায়।’ বৃদ্ধের ছেলে বলেন, ‘আমাদের কিছুটা সাহায্য করার জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানাচ্ছি। কারণ আমরা কৃষক এবং অত্যন্ত গরিব পরিবারের।’