ওড়িশার জাজপুরের বৈতরণী নদীর দশাশ্বমেধ ঘাটের কাছে ভগবান বিষ্ণুর তিনটি প্রাচীন মূর্তি উদ্ধার হল। এই মূর্তি তিনটি প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ বছরের পুরনো। এরমধ্যে একটি ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গেলেও দুটি অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। মূর্তি তিনটি বহু পুরনো হওয়ায় তাকে ঘিরে ব্যাপক কৌতূহল তৈরি হয়েছে। নদীঘাট এলাকায় প্রাচীন মূর্তি রয়েছে বলে খবর ছড়ায়। এর পরই ওই এলাকায় খননকার্য চালানো হয়। তারপরেই উদ্ধার করা হয়েছে মূর্তিগুলি।
যে দুটি মুর্তি অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে তারমধ্যে একটি বিষ্ণুর বরাহ অবতারের। ভগবান বিষ্ণুর দশাবতারের মধ্যে এটি তৃতীয় অবতার। এছাড়া, অন্যটি তাঁর সাধারণ রূপের মূর্তি৷ ওড়িশার একটি সংবাদ মাধ্যমকে জেলা সংস্কৃতি অফিসার দুর্যোধন মল্লিক বলেছেন, ‘জাজপুরের বৈতরণী নদীর কাছে মূল্যবান মূর্তি রয়েছে জানার পরেই খননের কাজ শুরু হয়। আমি একটি মাঠ অধ্যয়নে গিয়েছিলাম এবং উদ্ধার হওয়া মূর্তিগুলি খতিয়ে দেখার পরে আমি জানতে পারি যে ভাস্কর্যগুলি ১২ বা ১৩ শতকের সময়ের। এই তিনটি ভাস্করের মধ্যে একটি ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। তবে এগুলি ঐতিহাসিকদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
সন্তোষ নন্দ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেছেন, ‘এই এলাকাটি তৎকালীন উৎকলার (বর্তমানে ওড়িশা) রাজধানী ছিল এবং কেশরী রাজবংশের শাসকদের দ্বারা শাসিত হয়েছিল। তাই এই অঞ্চলে মূল্যবান প্রত্নবস্তু মেলার বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। জেলা প্রশাসন মূর্তি তিনটি জাদুঘরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্প্রতি একাধিক প্রাচীন ভাস্কর্য উদ্ধারের ঘটনায় জেলা প্রশাসন বৈতরণী অঞ্চলে প্রত্নতত্ত্ব ও ভূতত্ত্ব বিভাগকে আরও গবেষণা করতে নির্দেশ দিয়েছে।