ভারতীয় গণতন্ত্রের ‘মন্দির’ হল সংসদ। এহেন সংসদ এবং সংসদের অধ্যক্ষের পদকে অসম্মান করার অভিযোগ তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে। আর এর প্রেক্ষিতে শুক্রবার নাম না করেই মহুয়াকে সংসদের মর্যাদার পাঠ পড়ালেন স্পিকার ওম বিড়লা। তিনি সকল সংসদ সদস্যকে সংসদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের বার্তা দেন।
কৃষ্ণনগরের সাংসদকে ইঙ্গিত করে অধ্যক্ষ বলেন, ‘আমি সবাইকে বলতে চাই যে সংসদের ভিতরে হোক কি বাইরে, চেয়ারের (লোকসভার স্পিকার) বিরুদ্ধে মন্তব্য দেশের সম্মানের জন্য ভালো নয়। প্রত্যেক সদস্যের উচিত সংসদের সম্মান করা। চেয়ারে যেই থাকেন, তিনি সবসময় নিরপেক্ষ হয়ে, নিয়ম মেনে সংসদ পরিচালনার চেষ্টা করেন। যে যখন চেয়ারে বসেন, তখন সেই সদস্য এই পদের প্রাপ্য সকল সাংবিধানিক অধিকার পান। আমি আপনাদের অনুরোধ করছি যাতে কেউ চেয়ার সম্পর্কে সংসদের ভিতরে বা বাইরে কোনও মন্তব্য না করেন।’
ওম বিড়লা আরও জানান, সাংসদ এবং চেয়ারের মধ্যে মতপার্থক্য থাকলে সেই বিবাদ মেটাতে তাঁর চেম্বারে যাওয়া যেতে পারে। এরপর ওম বিড়লা বলেন, ‘আমি সকল সদস্যদের অনুরোধ করছি, বিশেষ করে সংসদের বাইরে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে চেয়ার সংক্রান্ত মন্তব্য করা ঠিক নয়।’ প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই লোকসভায় নিজের বক্তব্য শেষ না করতে পারায় চেয়ারের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। টুইট করে বিঁধেছিলেন লোকসভার চেয়ারকে।
বক্তৃতা দেওয়ার সময় মহুয়াকে লোকসভার চেয়ার বলেছিলেন, ‘মহুয়াজি ভালোবেসে বলুন।’ পাশাপাশি মহুয়া অভিযোগ করেন, তাঁর বরাদ্দের নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তাঁকে বক্তব্য পেশ করতে দেওয়া হয়নি। এরপরই টুইট বার্তায় মহুয়া লিখেছিলেন, ‘চেয়ার কে হন যে তিনি আমাকে আটকে (আমার মূল্যবান সময় নষ্ট করেছেন) জ্ঞান দেবেন যে আমি রেগে কথা বলব নাকি ভালোবেসে বলব? আপনার কোনও অধিকারই নেই ম্যাডাম। আপনি শুধু মাত্র আমাকে নিয়মের দিক দিয়ে ঠিক করতে পারেন। আপনি লোকসভার মরাল সায়েন্সের টিচার নন।’ আর মহুয়ার এই টুইট যে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা ভালো ভাবে নেননি, তা আজকে তাঁর কথায় স্পষ্ট।