রবিবার ওমানের সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে গিয়েছিল মহারাষ্ট্রের একটি পরিবার। এরপর তারা সমুদ্রে স্নান করতে নামে। তবে স্নান করতে নেমে আর জীবিত ফিরতে পারল না বাবা ও দুই সন্তান। উত্তাল ঢেউতে তলিয়ে গেল তিনজনেই। পরে বাবা ও ছেলের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ভয়াবহ হাড়হিম করা ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করেছেন অপর এক পর্যটক। সেই ভিডিয়ো ঘুরছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়।
মহারাষ্ট্রের সাংলি জেলাতে বাড়ি তাঁদের। মৃত বাবার বয়স ৪২ বছর। নাম শশীকান্ত মামানে আর তাঁর সন্তান শ্রেয়াস। এদিকে পিটিআই সূত্রে খবর, শশীকান্তের ৯ বছর বয়সী মেয়ে শ্রেয়ারও খোঁজ মিলছে না। সূত্রের খবর আদপে তাঁরা মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। কিন্তু পরিবার নিয়ে ইদানিং তাঁরা দুবাইতে থাকতেন। ওই ব্যক্তি দুবাইতে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন। রবিবার ছুটি কাটাতে পরিবার নিয়ে তাঁরা ওমানে গিয়েছিলেন।
ওই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে উত্তাল ঢেউ আছড়ে পড়ছে পাড়ে থাকা পাথরের বুকে। সেখানেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন পর্যটকরা। উত্তাল ঢেউকে পেছনে ফেলে ছবি তুলছেন অনেকেই। আচমকাই ভয়াবহ ঘটনা। একটি বিশাল আকৃতির ঢেউ এসে আছড়ে পড়ে পাথরের বুকে। এরপর জল ক্রমশ নেমে যা নীচের দিকে। সেই টানে এক মহিলা পড়ে যান। তিনি কোনওরকমে উঠতে পারলেও অপর তিনজন জলের টানে গভীর সমুদ্রের দিকে নেমে যান। পরে বাবা ও ছেলের দেহ উদ্ধার হয়েছে। মেয়েটির দেহ এখনও পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দুই সন্তানকে যখন ঢেউ টেনে নিয়ে যাচ্ছে তখন বাবা বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু জলের স্রোত, পিছল পাথরে তিনি সন্তানদের বাঁচাতে পারেননি। নিজেও মারা যান।