দীর্ঘ ১০ বছর পর সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল জম্মু ও কাশ্মীরে। গতকাল সেই ভোটের ফল বেরোয়। আর তাতেই বিশাল জয় পায় ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং কংগ্রেসের জোট। এমনকী বিজেপির রাজ্য সভাপতি রবিন্দর রায়না হেরে যান ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রার্থীর কাছে। এই আবহে ওমর আবদুল্লা পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন বলে ঘোষণা করেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রধান তথা ওমরের বাবা ফারুক আবদুল্লা। আর জম্মু ও কাশ্মীরের ভাবী মুখ্যমন্ত্রী আজ ৩৭০ ধারা ইস্যুতে মুখ খুললেন। (আরও পড়ুন: পুজোয় ভিড় সামলাতে একাধিক ব্যবস্থা শিয়ালদা-হাওড়ায়, ট্রেনে ওঠার আগে জানুন বিশদ)
আরও পড়ুন: ১৩ হাজার কোটির বাড়তি বোঝা কাঁধে নিয়ে ৩% ডিএ বাড়াতে পারে সরকার- রিপোর্ট
আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ওমর আবদুল্লা স্পষ্ট জানান, কেন্দ্রের এই মোদী সরকারের কাছে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের দাবি জানানো বোকামো। ওমর বলেন, 'আমাদের রাজনৈতিক অবস্থান বদলাবে না। আমরা কখনইও বলিনি যে ৩৭০ ধারার বিষয়ে আমরা নীরব থাকব বা এটি আমাদের জন্য আর কোনও ইস্যু নয়। কিন্তু আমরা জনগণকে বোকা বানানোর জন্য প্রস্তুত নই। আমি সবসময় বলেছি, যারা এই ৩৭০ ধারা বাতিল করেছে, সেই লোকদের কাছ থেকে এটি ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশা করা বোকামি। এটা মানুষকে ধোঁকা দেওয়ার মতো। তবে আমরা এই ইস্যুটিকে বাঁচিয়ে রাখব... আমরা আশা করি একদিন সরকার পরিবর্তন হবে। প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন হবে এবং এমন একটি সরকার হবে যার সাথে আমরা এই বিষয়ে কথা বলতে পারব এবং জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য কিছু অর্জন করতে পারব।' (আরও পড়ুন: ১০৩০০ থেকে বেতন বেড়ে ২৫০০০! পুজোর মাসে বড় প্রাপ্তি, কালীঘাটে সরকারি কর্মীরা)
আরও পড়ুন: হরিয়ানা ছুঁল পুরনো রেকর্ড, বিধানসভায় সর্বোচ্চ সংখ্যক মহিলা, কোন দলের কতজন জিতলেন
আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে খাতা খুলল AAP, বিজেপিকে চমকে দেওয়া মালিককে ফোন কেজরির
উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর দেখা যায়, 'ইন্ডিয়া' জোট বিশাল জয় পেয়েছে সেখানে। চূড়ান্ত ফল বেরোনোর আগেই ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রধান ফারুক আবদুল্লা জানিয়ে দেন, জম্মু ও কাশ্মীরের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন তাঁর ছেলে ওমর আবদুল্লা। এর আগেও এই পদে থেকে দায়িত্ব সামলেছেন ওমর। ওমর আবদুল্লা এবার দু'টি আসন থেকে লড়ছেন এবারে। গন্দেরবল আসন থেকে জিতেছেন ওমর। এছাড়া বুদগাম কেন্দ্রেও জয়ী হয়েছেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’। (আরও পড়ুন: ভারতের থেকে ডলার পেয়েও দেউলিয়া হতে পারে বাংলাদেশ, তাদের ঋণের পরিমাণ কত জানেন?)
আরও পড়ুন: মধ্যরাতেই বড় পদক্ষেপ বাংলার চিকিৎসকদের, বিস্ফোরক চিঠি মমতাকে
আরও পড়ুন: আরজি করে চিকিৎসক ধর্ষণ-খুন কাণ্ডের ৪৫ পাতার চার্জশিটে উল্লেখ ১০ প্রমাণের- রিপোর্ট
এদিকে এবারের ভোটে ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং কংগ্রেস জোটের ঝড়ে বিজেপির থেকেও খারাপ হাল মেহবুবা মুফতির পিডিপি-র। তারা প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। দল গঠনের পরে এবার সবচেয়ে বাজে ফল করেছে পিডিপি। ৯০ সদস্য বিশিষ্ট জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের জোট ৪৮টি আসনে জিতেছে। এর মধ্যে ৪২টি আসনে জয়ী ন্যাশনাল কনফারেন্স, কংগ্রেস জয়ী ৬টিতে। আর পিডিপি জয়ী মাত্র ৩টিআসনে। আর বিজেপি এগিয়ে ২৯টি আসনে। এদিকে সিপিএম একটি আসনে জিতেছে জম্মু ও কাশ্মীরে। কুলগাম আসন থেকে বাম নেতা মহম্মদ ইউসুফ তরিগামি জয়ী হন টানা পঞ্চম বারের জন্যে। ১৯৯৬, ২০০২, ২০০৮ এবং ২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে টানা কুলগাম আসন থেকে জিতে এসেছেন তারিগামি। এবারও সেই ধারা অব্যাহত থাকল। অপরদিকে জম্মু ও কাশ্মীরের বিজেপি রাজ্য সভাপতি রবিন্দর রায়না এগিয়ে থেকেও হেরে যান নৌশেরা আসন থেকে। ন্যাশনাল কনফারেন্সের সুরিন্দর কুমার চৌধুরীর কাছে তিনি ৭৮১৯ ভোটে হারেন।