স্যান্টা ক্লজ, না কি কোনও বিস্মৃতপ্রায় সাধক! জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার সাম্প্রতিক চেহারা দেখে স্তম্ভিত ইন্টারনেট।
সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পরে দীর্ঘ কয়েক মাস আটক থাকা ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের নেতার সাম্প্রতিক প্রকাশিত ছবিতে তাঁর চেহারায় আমূল পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। লম্বা ধূসর দাড়ি-গোঁফ শোভিত প্রৌঢ়ের সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন ক্লিন শেভড মুখ্যমন্ত্রীর যেন কোনও সাদৃশ্য নেই। ছবিটি ইন্টারনেট দুনিয়ায় ঝড় তুলেছে।
টুইটারে ওমরের ছবি দেখে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে নেট দুনিয়ায়। অনেকে তাঁর দীর্ঘ বন্দি জীবনকে চেহারার পরিবর্তনের জন্য দায়ী করেছেন। অনেকে আবার নতুন লুকের জন্য ওমরকে সাধুবাদ জানাতে কসুর করেননি। যদিও ফোটোটি আদতে তাঁরই কি না, সে সম্পর্কে কিছু জানাননি ওমর স্বয়ং।

টুইটারে ওমরের ছবি দেখে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে নেট দুনিয়ায়। অনেকে তাঁর দীর্ঘ বন্দি জীবনকে চেহারার পরিবর্তনের জন্য দায়ী করেছেন। অনেকে আবার নতুন লুকের জন্য ওমরকে সাধুবাদ জানাতে কসুর করেননি। যদিও ফোটোটি আদতে তাঁরই কি না, সে সম্পর্কে কিছু জানাননি ওমর স্বয়ং।
তবে সবচেয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব টুইটার হ্যান্ডেলে ওমরের নতুন ছবি শেয়ার করে তিনি মন্তব্য করেছেন, ‘এই ছবি দেখে ওমরকে চিনতে পারিনি। দুঃখ হচ্ছে। আমাদের গণতান্ত্রিক দেশে এমন ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। এ সব কবে শেষ কবে?’।
জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রকীয় পর্যবেক্ষকদের থাকার ব্যবস্থা করতে গত ১৫ জানুয়ারি ওমরকে তাঁর সরকারি বাসভবন হরি নিবাস থেকে সরিয়ে দেয় প্রশাসন।
এর আগে, গত ৫ অগস্ট ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করার পরে নিরাপত্তাজনিত কারণ দর্শিয়ে রাজ্যের তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা. ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতিকে গৃহবন্দি করে প্রশাসন। তাঁদের সহ্গে আটক করা হয় স্থানীয় বহু রাজনীতিক, সমাজ আন্দোলনকর্মী, আইনজীবী, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীকে।