একইসঙ্গে দুটি মহামারী চলছে - একটি ডেল্টার কারণে, অপরটি ওমিক্রনের কারণে। এমনটাই দাবি করলেন ভাইরোলজিস্ট টি জেকব জন। ওমিক্রনের সংক্রমণকে করোনা মহামারী থেকে 'বিচ্যুতি' হিসেবে দাবি করেছেন তিনি।
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রখ্যাত ভাইরোলজিস্ট দাবি করেছেন, ‘উহান-ডি৬১৪জি, আলফা, বিটা, গামা, ডেল্টা, কাপ্পা বা মিউয়ের দ্বারা লালিত-পালিত হয়নি ওমিক্রন। সেই বিষয়টি নিশ্চিত।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘তাই আমার মতে, এই ভ্যারিয়েন্টের (ওমিক্রন) নিকটবর্তী করোনাভাইরাস প্রজাতি অজানা। তবে এটা উহান-ডি৬১৪জি'র (ডি৬১৪জি বলতে সংশ্লিষ্ট প্রোটিনে একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড মিউটেশনকে বোঝায়। যা বিশ্বজুড়ে সার্স-কোভ২ ভাইরাসে ক্রমশ পরিচিত হয়ে উঠেছে) প্রপিতামহ। মহামারী অগ্রগতির সঙ্গে বিষয়টি আমরা বুঝতে পারব।’
করোনাভাইরাস মহামারী ভবিষ্যতের বিষয়ে আলোচনার সময় ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের (আইসিএমআর) প্রাক্তন অধিকর্তা জানান, 'যেহেতু করোনাভাইরাস মহামারীর অগ্রগতির পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে ওমিক্রন সংক্রমণ এসেছে, তাই আমাদের অবশ্যই বিবেচনা করতে যে সমান্তরালভাবে দুটি মহামারী চলছে - একটি ডেল্টা ও তার নিকটবর্তী প্রজাতির কারণে এবং অপরটি ওমিক্রন এবং ভবিষ্যতের প্রজাতির কারণে।' পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, ওমিক্রনের ফলে যে রোগ হচ্ছে, তাও আলাদা।
তাহলে কি করোনার ‘তৃতীয় ঢেউ’ সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে গিয়েছে?
প্রখ্যাত ভাইরোলজিস্ট জানিয়েছেন, মেট্রো শহরে প্রথম সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছিল। সেখানেই সংক্রমণ আগে কমবে। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ভাইরাসের নয়া যে প্রজাতি আসে, তা বেশি সংক্রামক হয়ে উঠতে পারে। তবে অসুস্থতার মাত্রা কমে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।